শিশুকে সুরক্ষিত রাখতে বাড়ির সবাইকে সবসময় সতর্ক থাকতে হয়। তারপরও শিশু কোনো না কোনো ক্ষতির মুখে পড়ে যায়। সামান্য অবহেলা বা অসতর্কতার কারণে শিশুর প্রাণহানীর ঘটনাও ঘটছে। পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু, ডায়রিয়া, হাত-পা কেটে যাওয়া, খাবার গলায় আটকে যাওয়ার মতো ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। আপনি চাইলে এ ধরণের অনাকাঙ্খিত ক্ষয়ক্ষতি থেকে শিশুকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব।

শিশুকে প্রস্রাব-পায়খানার নির্যাস থেকে সুষ্ক রাখতে ডায়াপারের জুড়ি নেই। বর্তমানে শিশুদের ডায়াপার অনেক জনপ্রিয়। কিন্তু এই ডায়াপার শিশুর দেহে কিছু সমস্যাও তৈরি করে। এর মধ্যে অন্যতম ‘ডায়াপার র‌্যাশ’। দীর্ঘক্ষণ ভেজা ডায়াপার পরিয়ে রাখার কারণে শিশুর কোমর, দুই নিতম্ব ও কুচকির ভিতরে র‌্যাশ বা ফুসকুড়ি দেখা দেয়। এই সমস্যায় অধিকাংশ শিশু ভুগে থাকে।

শিশুর দেহে অতিপরিচিত একটি সংক্রমণ ‘ওরাল থ্রাশ’ বা মুখের ঘা। শিশুর দেহের যত্নের পাশাপাশি মুখের ও দাঁতের যত্নও নেয়া উচিত। শিশুদের নিয়মিত ব্রাশ করার অভ্যাস করান। শিশুর মুখের ঘা খুবই বিড়ম্বনা সৃষ্টি করে। ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের অভাবেও শিশুর মুখে ঘা হতে পারে।

সুষম খাবার মানবদেহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে বয়স্কদের শরীরের শক্তি ঠিক রাখতে বিশেষ কিছু খাবার জরুরি। বয়স বাড়ার পাশাপাশি মানবদেহে হাড়ের ক্ষয়, মস্তিষ্কের ক্ষমতা ও যৌবনশক্তি হ্রাস পায়। গবেষকরা বলছেন, এমন ১০টি খাবার রয়েছে যা মানুষের বয়স বাড়লেও তরুণ বয়সের মত ক্ষিপ্র দৈহিক শক্তি যোগায়।

এমন অনেকেই আছেন, আপাতদৃষ্টিতে যাদের শরীর দেখে অসুস্থতা বুঝার উপায় নেই। কিছু মানুষ আছেন, যারা সারাদিন ক্লান্ত বোধ করেন। কেউ কেউ এটিকে সমস্যা মনে করেন, আবার কেউ এটিকে পাত্তা দেন না। গবেষণা বলছে, ক্লান্ত বোধ করার অন্যতম কারণ ‘রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া’। বৃটেনের জাতীয় স্বাস্থ্য জরিপ অনুসারে, প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি রাতে সাত থেকে নয় ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।

কথায় আছে, পেট ভালো তো সব ভালো। পেট ভালো তখনই বলা যায়, যখন আপনার হজমশক্তি ঠিক থাকে। হজম অঙ্গ নিয়ে অন্ত্র গঠিত। চিকিৎসকরা বলছেন, অন্ত্রের মাইক্রোবায়োম, যা অন্ত্রের মাইক্রোবায়োটা নামেও পরিচিত। এটি অণুজীবের একটি সমষ্ঠি, যা হজমতন্ত্রে থাকে। এই হজমতন্ত্র ঠিক রাখতে আমাদের করণীয় রয়েছে। শিশুদের ক্ষেত্রে আমাদের একটু চিন্তা মুক্ত থাকার প্রবণতা রয়েছে। কিন্তু, বড়দের মতো শিশুদেরও হজমতন্ত্র দুর্বল হয়ে পড়তে পারে।

ঝরঝরে শরীর ও প্রফুল্ল মনের জন্য অনেকেই কফি পান করেন। কফির স্বাদ বেশ মজাদার। সুস্বাস্থ্যের জন্য কফি বেশ কার্যকরী। তাই, দিনে অন্তত একবার হলেও কফি পান করা ভালো। এখন নানা রকম কফি বাজারে পাওয়া যায়। তবে ব্ল্যাক কফি বেশি জনপ্রিয়। ব্ল্যাক কফির ঔষধি গুণাগুণও রয়েছে।

ত্বকের এক বিব্রতকর সমস্যা ‘আঁচিল’। এটি আমাদের আত্মবিশ^াসকে দুর্বল করে দেয়। মুখ, চোখ, গলা ও হাতে আঁচিল হলে তা প্রায় সবসময়ই দেখা যায়। ফলে অনেকেই বিব্রতবোধ করেন। তবে, আঁচিল ছোয়াচে কিংবা সংক্রামক কোনো রোগ নয়। এটি ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে ছড়ায় না। গবেষকরা বলছেন, ক্ষতিকর না হলেও আঁচিল শারীরিক সৌন্দর্য নষ্ট করে।

সুস্থ ত্বক পেতে আমরা কত কিছুই না করি। কিন্তু আপনি কি জানেন, মানবদেহে এমন অনেক ঝুঁকিপূর্ণ আলামত থাকে, যা আমরা আমলে নিই না। যেমন, অনেকের ত্বকে ছোট ছোট রুক্ষ্ম ফুসকুড়ি দেখা যায়। এটি মূলত আঁচিল। দেহের যেকোনো স্থানে আঁচিল হয়। তবে গলায় আঁচিল হওয়ার প্রবণতা বেশি। গবেষকরা বলছেন, মানবদেহে প্রায় ১০ রকমের আঁচিল বা ফুসকুড়ি হতে পারে। এসব আঁচিলের মধ্যে অধিকাংশই নিরীহ বা সাধারণ।

মানবদেহের সবচেয়ে সংবেদনশীল একটি অঙ্গ ‘চোখ’। চোখের স্বাস্থ্য দেখেই একজন মানুষের শারীরিক অবস্থা নির্ণয় করা যায়। অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, শারীরিক জটিল রোগের চিহ্ন রোগীর চোখে ভেসে ওঠে। তাই, আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে শরীরের অন্যান্য অঙ্গের যত্নের পাশাপাশি চোখের যত্নও জরুরি। দেশে এখন গরম। কোথাও কোথাও হালকা দাবদাহ চলছে। এমন গরমে চোখের বিশেষ যত্ন প্রয়োজন।