• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

সন্ধ্যায় শিশু বেশি কাঁদে? সহজে হবে নিরাময়

সন্ধ্যায় শিশু বেশি কাঁদে? সহজে হবে নিরাময়

প্রতিকী ছবি

ফিচার ডেস্ক

কথায় আছে, পেট ভালো তো সব ভালো। পেট ভালো তখনই বলা যায়, যখন আপনার হজমশক্তি ঠিক থাকে। হজম অঙ্গ নিয়ে অন্ত্র গঠিত। চিকিৎসকরা বলছেন, অন্ত্রের মাইক্রোবায়োম, যা অন্ত্রের মাইক্রোবায়োটা নামেও পরিচিত। এটি অণুজীবের একটি সমষ্ঠি, যা হজমতন্ত্রে থাকে। এই হজমতন্ত্র ঠিক রাখতে আমাদের করণীয় রয়েছে। শিশুদের ক্ষেত্রে আমাদের একটু চিন্তা মুক্ত থাকার প্রবণতা রয়েছে। কিন্তু, বড়দের মতো শিশুদেরও হজমতন্ত্র দুর্বল হয়ে পড়তে পারে।

ভারতীয় গবেষক ও চিকিৎসক ডা. মনোজ যাদবের বরাত দিয়ে ওয়েব জার্নাল প্যারেন্টাউন বলছে, শিশুর অন্ত্রের মাইক্রোবায়োটা শিশুর জন্মের পরপরই কার্যকর হতে শুরু করে। মূলত, ভাল এবং খারাপ উভয় ব্যাকটেরিয়া শিশুর অন্ত্রে উপস্থিত থাকে।

অন্ত্র কী?

সহজ ভাষায়, অন্ত্র মূলত মানবদেহের অভ্যন্তরে বা পেটে থাকা নাড়িভুঁড়ি। পাকস্থলীর নিম্নভাগ হতে মলদ্বার পর্যন্ত অন্ত্রের বিস্তার। অন্ত্র অ্যাসিডিক সমস্যা ও নিরাময়ে ভূমিকা রাখে।

শিশুর পেট ভালো আছে কিনা

→ চিকিৎসক মনোজ যাদবের ভাষায়, শিশুর অন্ত্রের স্বাস্থ্য হজমের পাশাপাশি পুষ্টির শোষণ উভয়কেই প্রভাবিত করে। সুতরাং, একটি শিশুর অন্ত্রের স্বাস্থ্য তার বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

→ একটি সুস্থ অন্ত্র একটি সুস্থ ইমিউন সিস্টেম তৈরিতে অবদান রাখে। এটি শুধুমাত্র সংক্রমণের ঝুঁকির জন্য একটি শিশুর বিকাশে সহায়তা করে না বরং সর্বোত্তম ইমিউন সিস্টেম ফাংশনকে সমর্থন করে।

→ যেহেতু একটি শিশুর জন্মের সময় মাইক্রোবায়োটা তৈরি হয়, তাই তাদের অন্ত্রের স্বাস্থ্যের দিকে মনোযোগ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

→ যদি শিশুর অন্ত্রে আরও খারাপ ব্যাকটেরিয়া থাকে, তবে এটি কোলিক বা তীব্র পেট ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি হতে পারে। যদিও শৈশবকালের প্রথম দিকে শিশুদের পেট ব্যথা বেশ সাভাবিক।

→ গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন শিশু কোনো না কোনো সময়ে পেট ব্যথা বা কোলিক রোগে ভুগে থাকে। এজন্য সব শিশুই কাঁদে।

→ চিকিৎসকরা বলছেন, কোলিক আক্রান্ত শিশুরা প্রায়শই কাঁদে। এমনকি এই রোগে আক্রান্ত বাচ্চারা অন্যান্য বাচ্চাদের তুলনায় বেশি উচ্চস্বরে কাঁদে। এরা বেশি চঞ্চল এবং অপ্রীতিকর আচরণ করে।

→ কোলিক বা পেট ব্যথা রোগ অন্ত্রের সমস্যার কারণে হয়ে থাকে। এর ফলে কোনো কারণ ছাড়াই ঘন্টার পর ঘন্টা কাঁদতে পারে। এটি সাধারণত সন্ধ্যায় ঘটে থাকে।

নিরাময়ের উপায়

→ শিশুর কোলিক বা পেট ব্যথা রোগ পরিবারের অন্যদের ওপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। কাজেই শিশুর প্রতি যত্নশীল ও ধৈর্যশীল আচরণ করতে হবে।

→ শিশুরা কাঁদলে বিরক্ত না হয়ে তাকে সঙ্গ দিতে হবে। শিশু কি চায়, তার দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

→ শিশুর অন্ত্রের স্বাস্থ্য ঠিক আছে কিনা সেটি বুঝার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে শিশুর চিকিৎসা করাতে হবে।

→ গবেষকরা বলছেন, কোলিক আক্রান্ত শিশুর অন্ত্রে বা পেটে প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া কম থাকে। প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া ভালো ব্যাকটেরিয়া। এই ব্যাকটেরিয়া পাচনতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

→ শিশুকে ভালো রাখতে হলে প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

 

তথ্যসূত্র: প্যারেন্টিউন।

১৪ জুন ২০২৩, ০৭:১৭পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।