• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

বিশ্বের প্রথম ফটোকপিয়ার মেশিন

বিশ্বের প্রথম ফটোকপিয়ার মেশিন

ছবি- সংগৃহিত

ফিচার ডেস্ক

ফটোকপিয়ার বা ফটোকপি মেশিনের বাংলা নাম মূলত আলোক চিত্রানুলিপিকারক। এটি এক ধরণের আলোক চিত্রানুলিপি বৈদ্যুতিক যন্ত্র, যা যেকোনও হস্তলিখিত, মুদ্রিত বা অঙ্কিত উৎসের (নথি, ছবি, নকশা, বই, ইত্যাদি) আলোকচিত্র গ্রহণ ও ধারণ করে।

এই যন্তটির সাহায্যে ধারণকৃত আলোকচিত্রের বহুসংখ্যক অনুলিপি (হুবহু নকল বা কপি) উৎপাদন করা যায়। বেশিরভাগ আধুনিক আলোক চিত্রানুলিপিকারক যন্ত্রে জিরোগ্রাফি (Xerograph) বা শুষ্ক-চিত্রলিখন নামক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।

এটিকে স্থিরবৈদ্যুতিক মুদ্রণ (Electrostatic printing) ও বলা হয়। এই প্রযুক্তিতে ‘টোনার’ নামের শুষ্ক কালির গুঁড়াকে স্থিরবিদ্যুতের মাধ্যমে আকৃষ্ট করা হয় এবং এগুলিকে পরে তাপ, চাপ বা উভয়ের সমন্বয়ে কাগজে ছাপানো হয়।

উদ্ভাবন

বিজ্ঞান সাময়িকী ও তথ্যকোষ ইনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকার তথ্য বলছে, ১৯৩৮ সালে মার্কিন উদ্ভাবক চেস্টার কার্লসন সর্বপ্রথম ফটোকপিয়ার প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেন। কিন্তু প্রথম উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ততটা উন্নত না হওয়ায় সেটির মডারেশনের কাজ শুরু হয়। পরে দীর্ঘ ২০ বছর পর আধুনিক ফটোকপিয়ার মেশিন তৈরি করেন চেস্টার কার্লসন।

পরে ১৯৫৯ সালে নিউইয়র্কের রচেস্টার শহরের এক মার্কিন আলোকচিত্রণ প্রযুক্তি কোম্পানি জিরক্স (Xerox) নামে প্রথম আলোক চিত্রানুলিপিকারক যন্ত্র বা ফটোকপিয়ার মেশিন বাজারে আনে।

প্রথম মেশিনের নাম ছিল জিরক্স-৯১৪। বৈপ্লবিক এই যন্ত্র দিয়ে খুবই সহজে ও কম খরচে এক পৃষ্ঠা অনুলিপি বা নকল (কপি) করা যেত। বর্তমানে ফটোকপি খরচ আরও কমেছে। মেশিন আরও অত্যাধিক আধুনিক রূপ পেয়েছে।

বর্তমান প্রযুক্তির বাজারে চিত্রগ্রহণযন্ত্র বা স্ক্যানার, মুদ্রণযন্ত্র বা প্রিন্টার ও আলোক চিত্রানুলিপিকারক যন্ত্র বা ফটোকপিয়ার, এই তিন ধরনের যন্ত্রকে একত্রে রূপ দেয়া হয়েছে। এতে খরচ কমেছে, বেড়েছে সেবার মান। এসব মেশিন এখন সহজে বহনযোগ্য ও এগুলোর মেইনটেইন্যান্স খরচও কম।

০৯ জুন ২০২২, ০২:১৯পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।