• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

পৃথিবীর যে সৌন্দর্য আপনার দেখা হয়নি!

পৃথিবীর যে সৌন্দর্য আপনার দেখা হয়নি!

ছবি- সংগৃহিত

ফিচার ডেস্ক

ভ্রমণ করলে অন্তরের চোখ খুলে যায়। অন্তর প্রসারিত হয়। অবসাদ দূর হয়, জীবনের প্রতি মায়া বাড়ে। ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে। তাই, সময় পেলেই মানুষ ব্যাগপত্র গুছিয়ে হাটা দেন অজানায়।

পকেটের অবস্থা বুঝে ভ্রমণে বের হওয়াই ভালো। আবার পকেট ভরা টাকা নিয়েও যে দারুণ কিছু দেখতে পারবেন, এমনটাও নয়। ভ্রমণের জন্য প্রয়োজন সুষ্ঠু পরিকল্পনা, প্রস্তুতি ও সঠিক জায়গা বাছাই করা। বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলসহ কক্সবাজার, সিলেট, মৌলভীবাজার, সুন্দরবন, রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট, কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত প্রাকৃতিক পর্যটন স্পট। এর বাইরেও অনেক নান্দনিক জায়গা রয়েছে।

কিন্তু আপনি কি জানেন, দেশের বাইরে অর্থাৎ বিদেশের মাটিতে সবচেয়ে সুন্দর ও নৈসর্গিক জায়গাগুলো কোথায়? কেউ কেউ হয়তো জানেন, তবে অনেকেরই অজানা। তাই, এই পর্বে আমরা বিশে^র দর্শনীয় কিছু জায়গা সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। চলুন দেখে নেয়া যাক-

কিউকেনহফ, নেদারল্যান্ডস

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপার লীলাভূমি নেদারল্যান্ডস। বিশেষ করে বাহারি ফুলের জন্য নেদারল্যান্ডস বিশ্বে ব্যতিক্রম। তবে নেদারল্যান্ডের কিউকেনহফ ফুলের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। এটি বিশ্বের বৃহত্তম ফুলবাগান। একে “কিচেন গার্ডেন” বা “গার্ডেন অব ইউরোপ” বলা হয়।

এই বাগানের বর্তমান জমির পরিমাণ প্রায় ৮০ একর। এই বাগান থেকে প্রতিবছর ৭০ লাখের বেশি টিউলিপ উৎপাদন করা হয়। যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিউলিপ বাগান। আর এই বাগানের জন্যই কিউকেনহফ বিখ্যাত।

প্যাংগং লেক, লাদাখ

পৃথিবীর ভূস্বর্গ ‘কাশ্মীর’। কাশ্মীরের তুলনা কাশ্মীরই। তবে এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চল লাদাখও কম যায় না। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৪ হাজার ফুট উপরে অবস্থিত মরুভূমি আর পাহাড়বেষ্টিত অঞ্চল লাদাখ। আর লাদাখের অন্যতম সেরা সুন্দরতম স্থান ‘প্যাংগং লেক’। এটি পাথরবেষ্টিত লেক। লেকের নিচেও পাথর। কাজেই পানি কখনো নোংরা হয় না। নীলাভ রঙের টলমলে পানির এই লেক দেখতে লাদাখে ছুঁটে চলেন হাজার হাজার পর্যটক। তবে বছরের সবসময় এই লেকের সৌন্দর্য আপনি উপভোগ করতে পারবেন না। জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত কেবল প্যাংগং লেকে যেতে পারবেন আপনি।

অ্যান্টিলোপ ক্যানিয়ন, অ্যারিজোনা

পৃথিবীতে যুক্তরাষ্ট্র কি শুধুই আতঙ্কের নাম? মোটেও না। যুক্তরাষ্ট্রের অনেক জায়গা আছে যা আপনাকে আকর্ষিত করবে। এমনই একটি জায়গার নাম অ্যারিজোনা। আলোছায়ার এক অপরূপ খেলা চলে অ্যারিজোনায়। রহস্যময় এই গিরিখাতে পর্যটকদের ভীড় তাই লেগেই থাকে। ধারণা করা হয়, লাখ লাখ বছর আগে জলপ্রবাহের ফলে গভীর ক্যানিয়নের দেয়াল সৃষ্টি হয়। আর এখন সেই দেয়ালে সূর্যরশ্মি আঁছড়ে পড়ে আশ্চর্য এক আলোছায়ার খেলার সৃষ্টি করে।

বারোস আইল্যান্ড, মালদ্বীপ

দ্বীপের দেশ মালদ্বীপ। দেশটিতে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় আড়াই হাজার দ্বীপ রয়েছে। অপার সৌন্দর্যে ঘেরা মালদ্বীপ নীল সাগরের বুকে যেন ঢেঁউয়ের চিকচিকে শুভ্র ফেনা।

দ্বীপটিতে প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাখ লাখ পর্যটক ঘুরতে আসেন। বিশেষ করে শীতপ্রধান অঞ্চল থেকে মালদ্বীপে অবকাশযাপনে পর্যটকরা বেশি আসেন। মালদ্বীপ সুন্দর হলেও এই দ্বীপের সবচেয়ে নয়নাভিরাম দ্বীপ হল ‘বারোস’। এটি পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম সেরা সুন্দর। এখানে অবকাশ যাপনের সুযোগ পাওয়া বেশ কঠিন। অর্থ ও সময় অনুকূলে না থাকলে ‘বারোস’ আপনার জন্য নয়।

সালার দে ইয়ুনি, বলিভিয়া

পৃথিবীর আয়না খ্যাত ‘সালার দে ইয়ুনি’। এটি বলিভিয়ায় অবস্থিত। বর্ষাকালে বলিভিয়ার বৃহত্তম এই লবণক্ষেত্রটি প্রাকৃতিকভাবেই আয়নার মতো রূপ নেয়। আর এই লবণাক্ত আয়নার সৌন্দর্য দেখতেই দেশটিতে ভীড় করেন হাজার হাজার পর্যটক।

 

 

 

হালং বে, ভিয়েতনাম

১৯৯৪ সালে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের মর্যাদা লাভ করে হা লং বে। এটি ভিয়েতনামের কুয়াংনি প্রদেশে অবস্থিত একটি প্রাকৃতিক সৈকত। এই সৈকতে রয়েছে টলমলে গাড় নীল পানি আর চুনাপাথরের গড়াগড়ি। এ ছাড়া কয়েকটি ভাসমান গুহা রয়েছে এই সৈকত ঘেঁষে। কাজেই ভ্রমণপিপাসুদের কাছে এই সৈকতটি আকর্ষণের কারণ হতেই পারে।

উইস্টেরিয়া টানেল, জাপান

জাপানের মানুষের মন সাদা। জাপানের জাতীয় ফুল চেরি, তার রঙও প্রধানত সাদা। জাপানিরা তাদের আচরণ ও অভ্যাসের কারণেই পৃথিবীতে বিশেষ জাতির খ্যাতি পেয়েছে। আপনি কি জানেন, জাপানে এমন একটি টানেল রয়েছে যা মূলত গাছ দিয়ে তৈরি। এই গাছের নাম উইস্টেরিয়া। যা মূলত এক ধরনের ফুলের নাম। জাপানের কাওয়াচি ফুজি গার্ডেনে ব্যক্তি মালিকায় এই টানেল নির্মাণ করা হয়েছে। বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে সর্বসাধারণের জন্য এই টানেলটি খুলে দেয়া হয়।

২৪ মার্চ ২০২২, ০৫:৪৩পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।