• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

বৈদ্যুতিক ফ্যানের যাত্রা শুরু যেভাবে

বৈদ্যুতিক ফ্যানের যাত্রা শুরু যেভাবে

ছবি- সংগৃহিত

ফিচার ডেস্ক

প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক এই সময়ের অন্যতম আবিষ্কার অত্যাধুনিক সব বৈদ্যুতিক ফ্যান বা পাখা। কৃত্রিম উপায়ে বাতাসের প্রবাহ তৈরির জন্য এই ফ্যান বেশ জনপ্রিয়। বিশ্বব্যাপী বৈদ্যুতিক ফ্যানের জনপ্রিয়তা ও উপযোগিতা সবার উপরে। তবে আজকের এই আধুনিক বৈদ্যুতিক ফ্যান একদিনে তার এই বর্তমান রূপ পায়নি। উদ্ভাবনের প্রথম দিকে কেমন ছিল বৈদ্যুতিক ফ্যান, চলুন জেনে নেয়া যাক-

প্রথম উদ্ভাবন

প্রায় খ্রিস্টপূর্ব ৫০০ অব্দে ‘দ্য পাঙ্কাহ’ ফ্যান ব্যবহার করেছিল ভারত। প্রথম উদ্ভাবিত ফ্যানটি বৈদ্যুতিক শক্তিচালিত ছিল না। এটি ছিল বাঁশের ফালা ও অন্যান্য উদ্ভিদের ডাল-পাতা দিয়ে তৈরি পাখা। যা হাত দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে বাতাসের প্রবাহ তৈরি করা হতো।

পরে ব্রিটিশ শাসনামলে ‘দ্য পাঙ্কাহ’ শব্দটি অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান দ্বারা ব্যবহৃত হয়। বিবর্তনের ধারায় এটি দোলাকার ফ্ল্যাট পাখা হিসেবে রূপ পায়। যা ঘরের সিলিংয়ের সাথে সংশোধন করে রাখা হতো এবং পাখাটি একজন কর্মচারী সবসময় টেনে টেনে চালিত করতেন।

ইতিহাস বলছে, দ্য হ্যান রাজবংশ কারিগর এবং প্রকৌশলী ডিং হুয়ান সাত চাকার একটি ম্যানুয়ালি চালিত রোটারি ফ্যান আবিষ্কার করেছিলেন। যার ব্যাস ছিল ৩ মিটার। পরে চীন জলবাহী শক্তি প্রয়োগ করে শীতাতপনিয়ন্ত্রণের জন্য ফ্যানের চাকাগুলি আরও সরল করে। ফলে নতুন ওই ফ্যানের চাকাগুলো খুব দ্রুত ঘুরার ক্ষমতা লাভ করে।

তবে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে প্রথম বৈদ্যুতিক পাখা তৈরি হয় ১৮৮২ সালে নিউইয়র্কে। ক্রকার অ্যান্ড কারাটস ইলেকট্রিক কোম্পানির চিফ ইঞ্জিনিয়ার ড. শ্যুইলার হুইলার এই পাখা উদ্ভাবন করেন। উৎপাদন শুরু হয় পরের বছর থেকেই। এগুলো ছিল দুই ব্লেডওয়ালা টেবিল ফ্যান। প্রথম ঝুলন্ত বা সিলিং ফ্যান তৈরি করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইক ডায়নামো অ্যান্ড ইলেকট্রিক কোম্পানি ১৯০৮ সালে। ব্রিটেনে বৈদ্যুতিক পাখার প্রচলন শুরু হয় ১৮৮৮ সালে। আর হাতপাখার প্রচলন ছিল আরও আগে থেকেই। সে হিসেবে বিশ্বের প্রথম সিলিং ফ্যান ‘ফিলিপ ডিহল’।

১১ জুন ২০২২, ০৪:১৯পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।