• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সিনহা হত্যা মামলার রায় আগামীকাল

সিনহা হত্যা মামলার রায় আগামীকাল

ছবি- (বাঁ থেকে) মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান ও টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বহুল আলোচিত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার রায় আগামীকাল সোমবার ঘোষণা করা হবে। কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত মোহাম্মদ ইসমাইল রায় ঘোষণা করবেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদুল আলম।

আইনজীবী ফরিদুল আলম বলেন, ‘মামলার ২ নম্বর আসামি ও টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের পক্ষে অসমাপ্ত যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয়েছে আগেই। এর আগে মামলার অবশিষ্ট ১৪ আসামির পক্ষেও তাদের কৌশুলিরা যুক্তি উপস্থাপন করেছেন। আদালত ৩১ জানুয়ারি চাঞ্চল্যকর এই মামলার রায় ঘোষণা করবেন।’

মেজর সিনহা হত্যা মামলার আসামিরা সর্বোচ্চ শাস্তি পেতে পারেন বলে জানিয়ে তিনি আরও বলেন-‘আমরা যুক্তিতর্ক ও শুনানিতে আদালতকে সন্তোষ্ট করতে সমর্থ হয়েছি। আশা করছি, আসামিরা সর্বোচ্চ শাস্তি পাবেন।’

আইনজীবী ফরিদুল আলম বলেন- ‘হত্যার ঘটনায় ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলী জড়িত ছিলেন না বলে দাবি করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। কিন্তু তারা আদালতে তাদের যুক্তির পক্ষে প্রমাণ হাজির করতে ব্যর্থ হয়েছেন।’

এদিকে ওসি প্রদীপের আইনজীবী রানা দাশগুপ্ত গণমাধ্যমকে জানান, সিনহা হত্যা মামলায় কিছুতেই ওসি প্রদীপ জড়িত ছিলেন না। ইয়াবা ব্যবসায়ীরা তাঁকে (প্রদীপকে) ফাঁসিয়েছেন। কারণ, তিনি (প্রদীপ) টেকনাফের ইয়াবা নির্মূলে বড় ভূমিকা রেখে আসছিলেন। এ ছাড়া এই মামলার তদন্তভার র‌্যাবের হাতে দেওয়ায় প্রচলিত আইনের ব্যত্যয় হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শ্যামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি ও রামু থানায় পৃথক তিনটি মামলা করে।

এ মামলায় বর্তমানে কারাগারে থাকা ১৫ আসামি হলেন- বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন এসআই লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ (বরখাস্ত), দেহরক্ষী কনস্টেবল রুবেল শর্মা, বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, বরখাস্ত কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আব্দুল্লাহ আল মামুন, বরখাস্ত সহকারী এএসআই লিটন মিয়া, বরখাস্ত কনস্টেবল সাগর দেব, বরখাস্ত এপিবিএনের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শাহজাহান, বরখাস্ত কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ, টেকনাফ থানায় পুলিশের দায়ের করা মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

এ ছাড়া ঘটনার পাঁচ দিন পর গত বছরের ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ পুলিশের ৯ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস।

 

এবি/এসএন

৩০ জানুয়ারি ২০২২, ০৪:১৭পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।