• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক দুর্নীতি: তদন্তে দুদক

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক দুর্নীতি: তদন্তে দুদক

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

অবশেষে বহুল আলোচিত নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্যদের অনিয়ম-দুর্নীতি অভিযোগ তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টি আজিম-কাশেম সিন্ডিকেট নানা ভাবে ব্যাপক আর্থিক দুর্নীতি করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমেও একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে বোর্ড অব ট্রাস্টি সদস্যদের অনিয়মের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছিলেন।

এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৮ অক্টোবর সৈয়দ ইকবাল হোসেনকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দুদক। দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশনাও দিয়েছে সংস্থাটি।

এদিকে দুদকে জমা দেয়া অভিযোগপত্র ও দুদকের তদন্ত নির্দেশনা সূত্রে জানা গেছে, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর বাড়তি টিউশন ফি চাপিয়ে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি সদস্যরা প্রায় ২৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টি সদস্যরা শিক্ষার্থীদের ওপর অতিরিক্ত আরোপিত টিউশন ফির টাকা দিয়ে ৮টি বিলাসবহুল রেঞ্জ রোভার গাড়ি ক্রয় করেন। এমনকি এসব গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ ও তেল খরচও বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফির টাকা থেকে নিতেন আজিম-কাশেমের নেতৃত্বাধীন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি সদস্যরা।

দুদকের জমা দেয়া অভিযোগপত্র সূত্রে আরও জানা গেছে, ২০১৮ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্যরা সিটিং এলাউন্স বাবদ প্রতিটি বোর্ড মিটিংয়ে ১ লাখ এবং অন্যান্য মিটিং বাবদ ৫০ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত সিটিং এলাউন্স ফি যথাক্রমে ১০ হাজার ও আট হাজার টাকা। অভিযোগ রয়েছে, ইউজিসির নীতিমালা উপেক্ষা করে ভার্চুয়াল মিটিংয়ে অংশ নিয়েও আজিম-কাশেম নেতৃত্বাধীন সিন্ডিকেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

অভিযোগপত্র সূত্রে আরও জানা গেছে, ২৫টি সিটিং এলাউন্স থেকেই এ পর্যন্ত বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এছাড়া চক্রটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জিত প্রায় ৪০৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা নিজেদের পরিচালিত একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা রেখেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সম্পত্তির ওপর নিয়ন্ত্রণ নিতেই চক্রটি নিজেদের মালিকানাধীন ব্যাংকে এসব টাকা জমা রাখেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

 

এবি/এসএন

০৩ নভেম্বর ২০২১, ০৭:১৮পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।