• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

টাইলস বানিয়ে ভাগ্য ফেরালেন কাতার ফেরত যুবক

টাইলস বানিয়ে ভাগ্য ফেরালেন কাতার ফেরত যুবক

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঠাকুরগাঁওয়ের মোস্তাফিজুর রহমান শিমুল একজন সফল উদ্যোক্তা। শিমুলের তৈরি করা টাইলস এখন সারাদেশে সমাদৃত। নিজের তৈরি টাইলস বিক্রি করে অর্থনৈতিকভাবে যেমন তিনি স্বাবলম্বী হয়েছেন, তেমনি অন্যদের জন্যও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন। মোস্তাফিজুর রহমান শিমুলের হাত ধরে অনেক যুবক এখন উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখছে।

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা যে শুধুই চাকরির জন্য নয়, সেটাই প্রমাণ করেছেন শিমুল। তিনি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন যে, চাকরিই সফলতার মাপকাঠি নয়। তিনি প্রমাণ করেছেন, উদ্যোক্তা হয়ে ব্যবসা করার মাধ্যমেও সফলতার শীর্ষে আসীন হওয়া যায়।

জানা গেছে, মোস্তাফিজুর রহমান শিমুলের তৈরি করা টাইলস এখন দেশের বিভিন্ন জেলায় পৌঁছে যাচ্ছে। ব্যবসা শুরুর আট মাসেই পাওয়া ব্যাপক সাফল্য আজ হাসি ফুটিয়েছে শিমুলসহ অনেকের মুখে। এখন আর চাকরির পেছনে ছোটেন না শিমুল। বরং তার মতো আরও বেকার তরুণের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছেন তিনি।

ঠাকুরগাঁও শহরের শান্তিনগর এলাকায় ছোট আকারে গড়ে ওঠা শিমুলের ব্লক পার্কিং টাইলসের কারখানা এখন বিরাট সম্ভাবনাময় এক কারখানায় পরিণত হয়েছে। এখানেই তিনি অন্যান্যদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন।

সফল উদ্যোক্তা মোস্তাফিজুর রহমান শিমুল জানান, ২০১১ সালে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে তিন বছর চাকরির পেছনে ছুটেও লাভ হয়নি। শিক্ষিত বেকার হিসেবে একসময় তিনি ভুগেছেন হতাশায়। ২০১৬ সালে তিনি প্রবাসে পাড়ি জমান। কাতারে গিয়ে একটি পার্কিং টাইলসের কোম্পানীতে কাজ নেন শিমুল।

মূলত পার্কিং টাইলস তৈরি ও এটিকে ব্যবসায়িক রূপ দেয়ার পরিকল্পনা কাতার থেকেই শুরু করেন তিনি। পরে কাতার থেকে দেশে ফিরেই নিজ শহর ঠাকুরগাঁওয়ে পার্কিং টাইলস তৈরির ছোট্ট কারখানা স্থাপন করেন। কিছুদিন যেতে না যেতেই শিমুলের পার্কিং টাইলস সারাদেশে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হতে থাকে।

মোস্তাফিজুর রহমান শিমুল বলেন, ‘কাতারে টাইলসের কোম্পানিতে প্রায় তিন বছর কাজ করেছি। সেখানে কাজ করার সময় খুব খেয়াল করে সব শিখেছিলাম। কাতারে পার্কিং টাইলসের কাঁচামালের দাম বেশি। আমি কাতারে থাকা অবস্থায় চিন্তা করি, দেশে এসে পার্কিং টাইলস তৈরি শুরু করব। দেশে ফিরে একটি কারখানা গড়ে তুলেছি।

শিমুল বলেন, ২০২০ থেকে কারখানা করার প্রস্তুতি শুরু হয়। এরপর ২ লাখ টাকা পুঁজি নিয়ে ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু করি। নিজ জেলায় ব্যাপক সাড়া পাই। ধীরে ধীরে পার্শ্ববর্তী জেলায় যাওয়া শুরু করে আমার পণ্য। তবে এখন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অর্ডার পাচ্ছি।

বর্তমানে শিমুলের কারখানায় ১৭ জন শ্রমিক কাজ করছেন। সরকারি সহযোগিতা পেলে কারখানাটি বড় করতে চান শিমুল।

ঠাকুরগাঁও চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি হাবিবুল ইসলাম বাবলু ও পরিচালক মামুনুর রশিদ বলেন, ‘শিমুলকে সরকারিভাবে সহযোগিতা দেওয়া উচিত। শিমুলের মাধ্যমে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। শিমুল এ এলাকার তরুণদের জন্য আইডল।

 

এবি/এসএন

০৩ নভেম্বর ২০২১, ০৩:১৬পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।