• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

পৃথিবীর প্রথম গ্রন্থ

পৃথিবীর প্রথম গ্রন্থ

ছবি- প্রাচীন গ্রন্থসমূহের কয়েকটি আলামত।

ফিচার ডেস্ক

 

প্রাচীন যুগেও আধুনিক বিশ্বের আদলে বই প্রকাশ পেয়েছে। এ কারণে প্রাচীনকালেও বিখ্যাত হয়েছে অসংখ্য শহর। কিন্তু আপনি কি জানেন পৃথিবীর প্রথম গ্রন্থ বা বইটি কোন শহর থেকে প্রকাশ পেয়েছিল? ইতিহাসবিদদের মতে, মাটির ফলকের লেখা আদি যুগের গ্রন্থ।

প্যাপিরাস বা তালপাতায় হাতে লেখা বইয়ের যুগ এবং যান্ত্রিক ছাপাখানায় লাখ লাখ কপি বইয়ের মর্যাদা লাভ করেছে।

উদ্ভবের দিক থেকে গ্রন্থাগারের ইতিহাস গ্রন্থের মতোই সুপ্রাচীন। মানব সভ্যতার ইতিহাসে ঠিক কবে গ্রন্থাগার প্রথম প্রতিষ্ঠা লাভ করে, তার সঠিক ইতিবৃত্ত জানা দুরূহ। তবে অনুমান করা হয় যে, সুপ্রাচীন অ্যাসিরিয় সভ্যতায় গ্রন্থাগারের গোড়াপত্তন হয়েছিল।

খ্রিষ্টপূর্ব ৭ম শতাব্দীতে মধ্যপ্রাচ্য-এশিয়া মাইনর কেন্দ্রিক অ্যাসিরিয়ান সভ্যতার অন্যতম রাজা আসুরবানিপাল তার নিজস্ব সংগ্রহশালার জন্য বিখ্যাত ছিলেন। তিনি একাধারে সেনাপতি ও যোদ্ধা, শাসক ও প্রশাসক এবং গ্রন্থপ্রেমী ও বাস্তব গ্রন্থাগারিক ছিলেন।

অনেকগুলো গবেষণায় যা বলা হয়েছে, তাতে তার গ্রন্থাগারিক পরিচয়টি স্পষ্ট। মানবেতিহাসে আর কোনও শাসকের পরিচয় ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করার সময় গ্রন্থাগারিক-এর মর্যাদা আরোপ করা হয় নি, যেমনটি বলা হয়েছে অ্যাসিরিয় শাসক আসুরবানিপাল সম্পর্কে।

বিশ্বের প্রাচীনতম ব্যক্তিগত গ্রন্থাগারগুলোর মধ্যে আসুরবানিপাল-এর গ্রন্থাগারটি অন্যতম। তিনি তার সাম্রাজ্যের রাজধানী নিনেভহ-এ একটি জাতীয় গ্রন্থাগার ও সংগ্রহশালা গড়ে তোলেন।

খ্রিষ্টপূর্ব ৬৬৮-৬২৬ অব্দে তার পিতামহ সেনাচেরিব কর্তৃক যে সংগ্রহের সূচনা হয়েছিল। ওই সংগ্রহের সঙ্গে আরও অনেক সংগ্রহ সংযোজন করে আসুরবানিপাল তার রাজধানী নিনেভহ-তে হাজার হাজার মাটির চাকতি সমৃদ্ধ গ্রন্থাগারটি গড়ে তুলেছিলেন। সে আমলে কাগজ আবিষ্কৃত হয় নি। এবং বই-পুস্তক-ফরমান-রাষ্ট্রীয় হুকুমনামা ইত্যাদি শক্ত মাটির চাকতিতে অঙ্কিত বা লিপিবদ্ধ হতো। সেগুলোই ছিল সভ্যতার ঊষালগ্নের সেই আদি পাঠাগারের প্রথম সংগ্রহ, যা ছিল আজকের আধুনিক বইয়ের আদিরূপ।

২৯ মে ২০২২, ১১:২৬এএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।