• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

পৃথিবীর প্রথম গ্রন্থাগার ‘আসুরাবানিপাল’

পৃথিবীর প্রথম গ্রন্থাগার ‘আসুরাবানিপাল’

ছবি- ইরাকের মসুল শহরে অবস্থিত প্রাচীন ‘আসুরবানিপাল গ্রন্থাগার’ ও সংগ্রহিত নমুনা।

ফিচার ডেস্ক

বাণিজ্য, পর্যটন, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, শিল্প এমনকি সম্মেলনের কারণেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বিখ্যাত। একেক শহর একেক কারণে বিখ্যাত হয়ে উঠে। তবে অনেক শহর আছে যেগুলো শুধু সাহিত্যের জন্য বা বিভিন্ন বইপত্রে উল্লেখের জন্য বিশ্বজুড়ে খ্যাতি অর্জন করেছে। তেমনই শহর ইরাকের মসুল শহর। এখানেই রয়েছে বিশ্বের প্রথম লাইব্রেরি বা গ্রন্থাগার ‘আসুরবানিপাল’।

ইরাকের প্রাচীন এই শহরটি বইয়ের কারণেই যুগ যুগ ধরে পরিচিত। যদিও প্রাচীনকালে প্যাপিরাসের জন্য মিশরের কথা জেনেছে মানুষ। কিন্তু মাটির ফলকের লেখা আদি যুগের গ্রন্থ, প্যাপিরাসের বা তালপাতায় হাতে লেখা বইয়ের জন্য বিশ্বে এখনো অনন্য গ্রন্থাগার ‘আসুরবানিপাল’।

ইতিহাসবেত্তাদের বর্ণনায়, সুপ্রাচীন অ্যাসিরিয় সভ্যতায় গ্রন্থাগারের গোড়াপত্তন হয়েছিল। খ্রিষ্টপূর্ব ৭ম শতাব্দীতে মধ্যপ্রাচ্য-এশিয়া মাইনর কেন্দ্রিক অ্যাসিরিয়ান সভ্যতার অন্যতম রাজা আসুরবানিপাল (Assurbanipal) তার নিজস্ব সংগ্রহশালার জন্য বিখ্যাত ছিলেন।

বিখ্যাত সেই লাইব্রেরির নামকরণ করা হয় আসুরাবানিপাল। ‘আসুরানিপাল’ মূলত প্রাচীন মিশরের লেখার দেবতা। বিশ্বের প্রাচীনতম ব্যক্তিগত গ্রন্থাগারগুলোর মধ্যে আসুরবানিপাল সবচেয়ে প্রাচীন। খ্রিষ্টপূর্ব ৬৬৮-৬২৬ অব্দে এই গ্রন্থাগারের সূচনা হয়েছিল। তৎকালীন গ্রন্থপ্রেমী রাজার নামানুসারে ইতিহাসের সর্বপ্রাচীন গ্রন্থাগারটি ‘আসুরবানিপাল লাইব্রেরি’ নামে পরিচিতি লাভ করে।

২৮ মে ২০২২, ০২:১৯পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।