• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বের প্রথম মুদ্রা

বিশ্বের প্রথম মুদ্রা

ছবি- মেসোপটেমিয়া সভ্যতার প্রাচীন মিশরে প্রচলিত প্রথম ধাতব মুদ্রা ‘শেকেল’ (নমুনা ছবি)।

ফিচার ডেস্ক

পণ্য বা সেবা আদানপ্রদানের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিনিময় মাধ্যম ‘মুদ্রা’। এটি অর্থের একটি ধরন। অর্থ হচ্ছে সেই সকল বস্তু যা বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

সকল দেশের আলাদা আলাদা নির্দিষ্ট মুদ্রা রয়েছে। যোগান ও উৎপাদনের ক্ষেত্রে একচেটিয়া প্রভাব বিস্তার করে থাকে মুদ্রা। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো নিজেদের মাঝে অভিন্ন মুদ্রা চালু রেখেছে। এই মুদ্রার নাম ‘ইউরো’। ২৭টি দেশ নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

মুদ্রা মূলত বিনিময়ের প্রতীক। প্রচলিত মুদ্রা রূপে অর্থমুদ্রা মানব সভ্যতায় প্রায় ১০,০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকেই প্রভুত্ব বিস্তার করতে শুরু করে। সাধারণত, নিহিত মূল্যের মোহর (সোনা বা রূপা) প্রমাণ ছিল। প্রায় সকল আধুনিক অর্থমুদ্রাতন্ত্রই রাজ-আজ্ঞা অর্থমুদ্রার ওপর ভিত্তিশীল ছিল।

আদি প্রচলিত মুদ্রা

ইতিহাস বলছে, প্রচলিত মুদ্রা ২০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের কাছাকাছি সময়ে প্রথম প্রচলিত মুদ্রার বিকাশ ঘটে। ঐতিহাসিকদের মতে, প্রাচীন মেসোপটেমিয়া সভ্যতায় (তৎকালীন মিশর) অর্থমুদ্রা প্রাপ্তির প্রচলন শুরু হয়। প্রাচীন মিশরের দেবালয়ের ভাণ্ডারে সঞ্চিত রাখা শস্যের মূল্যভিত্তিক মুদ্রা ব্যবস্থা প্রচলন করা হয়।

শস্যপণ্যের মজুত মূল্য নির্ধারণের পর সেই পরিমাণ স্বর্ণ, রৌপ্য ও অন্যান্য ধাতব মুদ্রা উন্মক্ত করে মিশরীয়রা। পরবর্তিতে এই পদ্ধতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। প্রচলিত মুদ্রার এই প্রথম পর্যাযটি ১৫০০ বছরেরও অধিককাল ব্যবসা-বাণিজ্যর ভিত্তি গড়ে তুলেছিল।

টঙ্কন

প্রায় ১৫০০ বছর পর প্রচলিত মুদ্রা হিসাবে ব্যবহৃত ধাতু ‘রূপা’ নিজেই মূল্যের ভাণ্ডার হিসাবে পরিগণিত হতে শুরু করে। পরবর্তীতে রূপা, সোনা ও তামার মিশ্রিত ধাতুর মুদ্রার প্রচলন শুরু হয়। এই মুদ্রাকেই বলা হয় ‘টঙ্কন’।

মুদ্রা হিসেবে ‘টঙ্কন’ বৃহত্তর অর্থনীতিতে তামা, রূপা এবং সোনার মুদ্রার তিনটি স্তর গঠন করত। সোনার মুদ্রাসমূহকে বাজারি পরিমাণের ক্রয়-বিক্রয়, সামরিক খরচ আদায় এবং রাষ্ট্রের কার্যপ্রণালীতে সহায়তা করার জন্যে ব্যবহার করা হত। রূপার মুদ্রাসমূহকে মধ্যম আকারের লেনদেন সমূহের কারণে ব্যবহার করা হত। তাছাড়া, তামার মুদ্রাসমূহে সাধারণ লেনদেনের টঙ্কনকে প্রতিনিধিত্ব করা হত।

কাগজী অর্থমুদ্রা

প্রাক-আধুনিক চীনে সুবিধাজনক বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে প্রথম কাগজী অর্থমুদ্রার সূচনা হয়। এই কাগজী অর্থমুদ্রা আজকের দিনে সমস্ত ব্যাঙ্ক নোট বা কাগজী টাকা হিসাবে পরিচিত।

২২ মে ২০২২, ০১:০২পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।