• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

চিনি কেন হয়ে গেল ‘সাদা বিষ’

চিনি কেন হয়ে গেল ‘সাদা বিষ’

প্রতিকী ছবি

ফিচার ডেস্ক

খাবার পছন্দ করার ক্ষেত্রে মানুষের রুচি ও স্বাদের ভিন্নতা রয়েছে। কারো টক পছন্দ, কারো পছন্দ ঝাল। আবার কেউ কেউ মিষ্টি দেখলেই হামলে পড়েন। বর্তমানে মিষ্টির প্রধানতম উপকরণ চিনি। গবেষকরা এই চিনিকে বলছেন ‘সাদা বিষ’ বা হোয়াইট পয়জন। চিনি ছাড়াও খেজুরের গুঁড়, তালের গুঁড়, মধুও রয়েছে মিষ্টি জাতীয় খাবারের তুলনায়। তবে এসব প্রাকৃতিক মিষ্টি খাবারের চেয়ে বাজারে পাওয়া চিনি অনেক ক্ষতিকর।

বর্তমানে রুটি, কেক, বিস্কুট, চকলেট, দধিসহ বাজারের অধিকাংশ খাবারে চিনি ব্যবহার করা হয়। এমনকি কৃত্রিম উপায়েও চিনি তৈরি হচ্ছে বলে গুঞ্জন আছে। চিকিৎসকরা বলছেন, চিনি ভয়ঙ্কর একটি খাদ্য উপাদান। এটি মানুষের দেহে জটিল রোগের বাহক।

চিনি কেন সাদা বিষ

আমেরিকান হার্ট ইনস্টিটিউটের গবেষকদের বরাত দিয়ে স্বাস্থ্যবিষয়ক জার্নাল হেলথ লাইন বলছে, প্রক্রিয়াজাত চিনি বা সাদা চিনি মাদকের মতো। এটি যারা খান, তারা এই চিনি ও চিনি দিয়ে বানানো খাবারের নেশায় পড়ে যান। যে কারণে, ডায়াবেটিস, কিডনি রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, স্থুলতাসহ নানা জটিল রোগের প্রকোপ বাড়ছে।

মেজাজ খিটখিটে করে: চিনি মস্তিষ্কে ডোপামিন নামক রাসায়নিকের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। আপনি হঠাৎ চিনি ছেড়ে দিলে ডোপামিন কমে যায়। ফলে বিষণ্নতা, খিটখিটে মেজাজ ও বদমেজাজি হয়ে পড়ে মানুষ। তাই, চিনি ছেড়ে দেয়ায় উত্তম।

স্থুলতা বাড়ায়: সাদা চিনি মূলত সুক্রোজে ভরা একটি খাদ্য উপাদান। চিনি রক্তে মিশে গিয়ে দেহের হজমক্রিয়ার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এ ছাড়া চিনি দেহে চর্বি জমায়। ফলে দ্রুত ওজন বেড়ে যায়।

লিভার ক্ষতিগ্রস্থ করে: যারা নিয়মিত নানা উপায়ে চিনি খান, তাদের লিভার দ্রুত ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ফ্যাটি লিভার বা লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমিয়ে দেয় চিনি। ফলে লিভারের আকৃতি পরিবর্তন হয়ে দেহের ক্ষতি করে।

ডায়াবেটিস বাড়ায়: গবেষকরা বলছেন, সাদা চিনি মুহুর্তেই ডায়াবেটিস বাড়িয়ে দেয়। যারা নিয়তিত চা এর সঙ্গে চিনি খায়, তাদের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায় কয়েকগুণ।

ত্বক নষ্ট করে: নিয়মিত চিনি খাওয়ার ফলে ত্বকে দ্রুত বলিরেখা পড়ে। যারা চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার বেশি খান, অল্প বয়সেই তাদের চেহারায় বার্ধক্যের ছাপ চলে আসে।

 

তথ্যসূত্র: হেলথ লাইন।

 

২১ আগস্ট ২০২৩, ০৬:৪৮পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।