• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

প্রোটিনের উত্তম প্রাকৃতিক উৎস

প্রোটিনের উত্তম প্রাকৃতিক উৎস

প্রতিকী ছবি

ফিচার ডেস্ক

প্রোটিন বা আমিষ মানবদেহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান। দৈনন্দিন প্রোটিনের চাহিদা পূরণে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম অত্যন্ত সহায়ক। এসব উৎসের বাইরেও প্রকৃতিতে উত্তম কয়েকটি প্রোটিনের উপাদান রয়েছে, যা খুবই ঝুঁকিমুক্ত ও উপকারি। গবেষকরা বলছেন, প্রাকৃতিক উৎস থেকে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করা সবচেয়ে উত্তম। প্রাকৃতিক উপাদান থেকে পাওয়া প্রোটিন পেশি গঠন, পেশি মজবুত করণ ও হাঁড় গঠনে সহায়ক।

প্রাকৃতিক বা উদ্ভিজ আমিষ

পুষ্টিবিদরা বলছেন, প্রকৃতিতে অনেক শাক-সবজি, দানা ও বীজ জাতীয় খাদ্য ও খাদ্যশস্য রয়েছে, যা থেকে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করা যায়। যেমন- কাঁঠালের বিচি, বাদাম, ছোলাবুট, মসুর ডাল, গম, সীমের বিচি ইত্যাদি। এসব উপাদানে প্রচুর প্রোটিন পাওয়া যায়।

উদ্ভিজ বা প্রাকৃতিক আমিষ কেন প্রয়োজন

স্বাস্থ্যবিষয়ক জনপ্রিয় মার্কিন ওয়েবজার্নাল হেলথ লাইনে প্রকাশিত নিবন্ধে বলা হয়েছে, উদ্ভিজ্জ আমিষে থাকে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট, অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস এবং প্রচুর ফাইবার। কাজেই প্রাকৃতিক বা উদ্ভিজ আমিষ অত্যন্ত উপকারি ও ঝুঁকিমুক্ত।

উদ্ভিজ বা প্রাকৃতিক প্রোটিনের উৎস

বীজ ও দানাজাতীয় খাবার: বিভিন্ন ধরনের ডাল, শিমের বিচি, মটরশুঁটিতে রয়েছে পর্যাপ্ত আমিষ বা প্রোটিন। এসব উপাদানে কোলেস্টেরল কম থাকে। যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

বাদাম ও কুমড়ার বিচি: চিনা বাদাম, পেস্তাবাদাম, আখরোট ও কাজুবাদামসহ সব ধরণের বাদামে রয়েছে আমিষ। এ ছাড়া সূর্যমুখীর বীজ, তিসি ও কুমড়ার বিচিতে আছে পর্যাপ্ত আমিষ।

ছানা: দুধ থেকে তৈরি খাঁটি ছানা প্রাকৃতিক উপাদান থেকে তৈরি হওয়া প্রোটিনের মধ্যে অন্যতম। ছানা ওজন কমাতে সহায়তা করে। এ ছাড়া এটি হজমশক্তি বৃদ্ধিতেও কাজ করে।

গমের আটা: দৈনন্দিন খাবার তালিকায় গমের লাল আটা রাখুন। এই খাবারটি প্রাকৃতিক প্রোটিনে ভরপুর। লাল আটার রুটি দেহের শক্তি বৃদ্ধি করে এবং সংক্রমণ ঝুঁকি কমায়। যারা দ্রুত ওজন কমাতে চান, তারা ভাতের বদলে সকাল ও রাতে একটি করে মাঝারি আকারের লাল আটার রুটি খেতে পারেন।

 

তথ্যসূত্র: হেলথ লাইন।

০৯ আগস্ট ২০২৩, ০৭:৪৬পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।