কলা দুধ গাজরের চেয়ে পুষ্টিগুণে এগিয়ে ‘সজিনা পাতা’
প্রতিকী ছবি
গুণেমানে অনন্য সজনে পাতা ও সজনে ডাটা। সজনে পাতার পুষ্টিগুণের কথা আমাদের সবারই কমবেশি জানা। গ্রামাঞ্চলে এখনও ছোট খাটো অসুখ সারাতে সজনে পাতা ব্যবহার করা হয়। ভেষজগুণে ভরপুর সজনে পাতা নিয়ে আমাদের এবারের পর্ব।
সজিনা পাতাকে বলা হয় ‘অলৌকিক পাতা’। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে পুষ্টিকর হার্ব। গবেষকরা বলছেন, সজিনা পাতা নিউট্রিশন্স সুপার ফুড।
সজনে পাতায় যেসব উপকারিতা
গবেষকরা বলছেন, একটি কমলার চেয়ে পুষ্টিগুণে সাতগুণ, ক্যালসিয়ামের দিক থেকে এটি দুধের চেয়ে চারগুণ, এমনকি গাজরের চেয়েও সজিনা পাতায় ভিটামিন এ কয়েকগুণ বেশি থাকে। সেই সঙ্গে কলার চেয়ে তিনগুণ বেশি পটাসিয়াম রয়েছে সজনে পাতায়।
হজমশক্তি বাড়ায়
সজিনা পাতায় রয়েছে ২০ শতাংশ প্রোটিন, যা দেহের মেটাবলিজম শক্তি বাড়ায়। এতে রয়েছে মানবদেহের জন্য প্রয়োজনীয় এমাইনো এসিড।
অ্যানেমিয়া ও কোলেস্টেরল কমায়
সজিনা পাতায় রয়েছে প্রচুর জিঙ্ক ও আয়রণ, যা অ্যানেমিয়া দূর করে। এ ছাড়া শরীরের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সজিনা পাতা অত্যন্ত কার্যকরী একটি ভেষজ উপাদান।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
খনিজ ও ভেষজ উপাদানে ভরপুর সজিনা পাতা দেহে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
ক্যান্সার নিরাময় করে
সজিনা পাতায় ৩৬ রকমের অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান বা বৈশিষ্ট রয়েছে। এসব উপাদান বার্ধক্যজনিক রোগ নিরাময় ও ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।
রক্তচাপ কমায়
সজিনা পাতায় রয়েছে পটাসিয়াম ক্লোরাইড, যা লবনের ঘাটতি পুরণ করার পাশাপাশি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
এই পাতা শরীরের ডিফেন্স ম্যাকানিজম শক্তিশালী করে। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে এইডস আক্রান্ত রোগীদের জন্য সজিনা পাতা খুবই উপকারী।
ওজন কমায়
সজিনা পাতা হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। এতে থাকা ফাইবার শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমতে দেয় না। ফলে শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমতে শুরু করে।
বুকের দুধ বৃদ্ধি করে
প্রসুতি মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধিতে সজিনা পাতা খুবই কার্যকরী একটি উপাদান। সজিনা পাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিয়মিত এক চা চামচ পানিতে মিশিয়ে খেলে প্রসূতি নারীর দুধ বৃদ্ধি পায়। এছাড়া সজিনা পাতায় থাকা প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও আয়রণ শিশুর সুষ্ঠু বিকাশে সহায়তা করে।
কিডনীর সুরক্ষা দেয়
সজিনা পাতায় এন্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে, যা যকৃত ও কিডনী সুস্থ রাখতে কার্যকরী।
তথ্যসূত্র: মেডিকেল নিউজ টুডে।