• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত

সুস্থ থাকার সেরা ৬ টিপস

সুস্থ থাকার সেরা ৬ টিপস

প্রতিকী ছবি

ফিচার ডেস্ক

সুস্বাস্থ্য এবং সুস্থতা বাড়াতে সুষ্ঠু জীবনাচারের বিকল্প নেই। নিয়ম মেনে খাওয়া, নিয়ম করে শরীরচর্চা এবং অভ্যাসগুলো নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে জীবন পাল্টানো যায়। সুস্থ জীবন ও সুন্দর সবল স্বাস্থ্যের জন্য যেমন পোড়া মাংস এড়ানো জরুরি, তেমনি শরীরচর্চা বা মেডিটেশন শুরু করাও অপরিহার্য। ঘরোয়া কিছু পরিবর্তন ও অভ্যাস আপনার জীবনকে আমুলে বদলে দিতে পারে।

বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত তেমনই কিছু কার্যকর অভ্যাস, নিয়ম, টিপস ও খাবার নিয়ে আমাদের এবারের উপস্থাপনা। চলুন আর দেরি নয়।

চিনিযুক্ত পানীয় পরিহার করুন

চিনিযুক্ত পানীয় মানবদেহের জন্য সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ক্ষতির কারণ। এটি বৈজ্ঞানিকভাবে বহুল পরীক্ষিত। চিনিযুক্ত পানীয়ের মধ্যে রয়েছে- সোডা, ফলের রস এবং মিষ্টি চা, কোলড ড্রিংকস, সফট ড্রিংকস ইত্যাদি। গবেষকরা বলছেন, চিনি বা মিষ্টিযুক্ত পানীয়গুলি হৃদরোগ এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি, স্থুলতা বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। তাই, চিনিযুক্ত পানীয়ের বিকল্প হিসেবে বেশি বেশি পানি, চিনিমুক্ত চা, কফি পান করুন।

বাদাম এবং বীজ খান

অনেকেই ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে বাদাম এড়িয়ে চলেন। আমাদের ধারণা, বাদামে চর্বি বেশি থাকে। বাদামে যাই থাকুক না কেন, গবেষকণায় দেখা গেছে বাদাম এবং বীজ অবিশ্বাস্যরকম পুষ্টিকর। বাদাম ও বীজে থাকে প্রচুর প্রোটিন, ফাইবার, বিভিন্ন ধরণের ভিটামিন এবং খনিজ। বাদাম ও বীঝ ওজন কমায়, টাইপ ২ ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন

দিনে দিনে আল্ট্রা-প্রসেসড ফুডস (ইউপিএফ) বা প্রক্রিয়াজাত খাবার জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। গবেষকরা বলছেন, এই খাবারগুলিতে পুষ্টিমাণ ও উপকারী উপাদান খুব কম থাকে। কারণ, প্রক্রিয়াজত খাবারগুলিতে চিনি, উচ্চ পরিশোধিত তেল, টেস্টিং লবণ, সংরক্ষণকারী, কৃত্রিম মিষ্টি এবং রঙ যোগ করা থাকে। এসব উপাদান মানবদেহের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। প্রক্রিয়াজাত খাবারগুলির মধ্যে অন্যতম- স্ন্যাক কেক, ফাস্ট ফুড, হিমায়িত খাবার, প্যাকেজ কুকিজ, চিপস এবং অন্যান্য প্যাকেটজাত খাবার।

কফি পান করুন

গবেষণায় দেখা গেছে, কফি অত্যন্ত উপকারি একটি বীজ। কফিতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। গবেষকরা বলছেন, যারা নিয়মিত কফি পান করেন, তাদের জীবন দীর্ঘ হয়। এ ছাড়া টাইপ ২ ডায়াবেটিস, পারকিনসন্স এবং আলঝেইমার রোগ দূরে রাখে কপি। এমনকি গর্ভবতী নারীর জন্যও কফি উপকারী, তবে সেটি দিনে দুই কাপের বেশি নয়।

চর্বিযুক্ত মাছ খান

মাছ উচ্চমানের প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বির একটি বড় উৎস। মাছে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন ও ক্যালরি। যারা নিয়মিত মাছ খান তাদের হৃদরোগ, ডিমেনশিয়া এবং প্রদাহজনক অন্ত্রের রোগসহ বেশ কয়েকটি রোগের ঝুঁকি কম থাকে বলে গবেষণায় প্রমাণিত।

পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে

সুস্থ্য থাকতে হলে ঘুমের বিকল্প নেই। প্রাপ্ত বয়স্কদের (৩০ থেকে ওপরে) ন্যূনতম ৮ ঘণ্টা ঘুমের অভ্যাস করতে হবে। ঘুম কম হলে দেহে ইনসুলিন ও অন্যান্য উপকারি হরমোন নিসরণ কমে যায়। ফলে শরীরে মারাত্মাক ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। নিয়মিত ৮ ঘণ্টা ঘুমানোর অভ্যাস করলে আপনার ওজন কমে যাবে, কর্মস্পৃহা বেড়ে যাবে।

 

তথ্যসূত্র: হেলথ লাইন।

০৫ জুলাই ২০২৩, ০৫:৩০পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।