• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

রকমারি ফুলের নয়নাভিরাম বাংলাদেশ

রকমারি ফুলের নয়নাভিরাম বাংলাদেশ

ছবি- সংগৃহিত

ফিচার ডেস্ক

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাংলাদেশ। ষড়ঋতুর সোনার বাংলাদেশে এখন বসন্ত চলছে। বাতাসে ফুলের মৌ মৌ গন্ধ আর গাছে গাছে পাখির কলতান। বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠে বসন্তে হরেক রকমের ফসলের সমাহার। বসন্তে বাংলাদেশ সাঁজে ফুলে ফুলে। তবে সারা বছর দেশে কয়েক হাজার প্রজাতির ফুল ফোটে। গোলাপ, বেলি, রজনীগন্ধার পাশাপাশি এই দেশে রয়েছে ব্যতিক্রমী কিছু ফুল, যা সুগন্ধ ছড়ানোর পাশাপাশি ভেষজ চিকিৎসায় কার্যকরী।

আমরা তেমনই কিছু ফুল ও বাহারি কিছু ফুলের পরিচয় তুলে ধরব। চলুন প্রিয় পাঠক, দেখে নেয়া যাক কিছু ফুল।

অতি পরিচিত কিছু ফুল:

গাঁদা: শীতকালে বাংলাদেশের সবচেয়ে পরিচিত ফুল বললেই নাম আসে গাঁদা ফুলের। শীত আর গাঁদা যেনো সমার্থক। তবে এখন সময় পাল্টেছে। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সারাবছরই গাঁদা ফুলের চাষ হচ্ছে। যশোরের গদখালী, ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গার বেশ কিছু অঞ্চলে গাঁদাসহ নানা প্রজাতির ফুল সারাবছরই চাষ হয়।

ডালিয়া: শীতকালে গাঁদার পরের স্থানটাই হয়তো ডালিয়ার। সাদা, লাল, হলুদ, গোলাপি, চকোলেট রঙের এই ফুলটি বাহারি পাপড়ির কারণে মানুষের নজর কাড়ে সহজে।

চন্দ্রমল্লিকা: প্রকৃতিপ্রেমীদের মোহবিষ্ট করতে এই ফুলের জুড়ি নেই। বাহারি ও রকমারি রঙের এই ফুলের ইংরেজী নাম ক্রিসেস্থিমাম।

এগুলো বাদেও শীতকাল ও বসন্তে কসমস, জিনিয়া, ডেইজি, সিলভিয়া, জারবেরা, অ্যাজেলিয়া, গোলাপ, জবা, জুঁইসহ নাম না জানা অসংখ্য ফুল ফোটে।

উপকারি আরও কিছু ফুল:

শ্বেতকাঞ্চন: শ্বেতকাঞ্চন নামের মাঝেই একটা ঔষধি আভাস পাওয়া যায়। এই ফুলটি মূলত অর্কিডের এক বিশেষ প্রজাতি। দেখতে অসাধারণ শ্বেতকাঞ্চন শোভাবর্ধনে আদর্শ এক ফুল। এই ফুল মার্চ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ফুটে থাকে। বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে এই ফুলের ব্যবহার সুপ্রাচীন।

নাগকেশর: নাগকেশর ফুলের উৎপত্তিস্থল দক্ষিণ আমেরিকা। তবে পৃথিবীর সর্বত্র এই ফুল পাওয়া যায়। নাগকেশর গাছ বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ। এটি প্রায় ২৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। গাছগুলো মূলত দ্রুত বৃদ্ধি আর মন মাতানো ফুলের জন্যই রোপন করা হয়। ফুলগুলোয় কমলা, উজ্জ্বল লাল, গোলাপী ইত্যাদি রঙের সমাবেশ দেখা যায়। নাগকেশরের সুগন্ধও মনকাড়া। এর ভেষজ ব্যবহার অত্যন্ত চমকপ্রদ ও কার্যকরী।

স্বর্ণচাপা: স্বর্ণচাপা ফুল উঁচু ভূমিতে বেশি দেখা যায়। তবে সমতলেও এই ফুল ফোটে। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে স্বর্ণচাপা বেশি দেখা যায়। স্বর্ণচাপা ফুলের গাছের কান্ড ধূসর রঙের, উন্নত এবং সরল হয়। বাংলাদেশে হলুদ রঙের ফুলই বেশি দেখা যায়।

সর্পগন্ধা: সর্পগন্ধা মূলত ঔষধি গুণের জন্য বেশি পরিচিত। এই ফুল চন্দ্রা নামেও পরিচিত। বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলে এই ফুল বেশি দেখা যায়। সর্পগন্ধা গুল্মজাতীয় উদ্ভিত, ফুল গুচ্ছাকার। সর্পগন্ধার রস মস্তিষ্কের রোগে বেশ উপকারী। তাই পাগলের ওষুধ বলেও অনেকে এই ফুল চেনে।

২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৩:১৯পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।