• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

‘শিল্পকলা হলো জীবনবৃক্ষ আর বিজ্ঞান হলো মরণবৃক্ষ’

‘শিল্পকলা হলো জীবনবৃক্ষ আর বিজ্ঞান হলো মরণবৃক্ষ’

প্রতিকী ছবি

উক্তি ডেস্ক

শিল্পের রঙ জীবনময়। জীবনের চেয়ে আর মধুর কিছু নেই। বেঁচে থাকার মাঝেই বোধহয় জীবনের প্রকৃত স্বাদ নিহিত। তবে চিন্তাশীলরা বলছেন ভিন্ন কথা। অনেকেই মনে করেন, জীবনের প্রকৃত মর্ম প্রকাশ পায় শিল্পকলার মাঝে। শিল্পকলা জীবনকে বিস্তৃত করে। জীবনের মহিমা যে কত শাশ্বত তা কেবল শিল্পকলার মাঝেই অনুধাবন করা যায়।

বিখ্যাত ইংরেজ কবি উইলিয়াম ব্লেক বলেছেন ভিন্ন কথা। তিনি জীবন ও মরণকে শিল্পকলা ও বিজ্ঞানের ধারায় বিভক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন- ‘শিল্পকলা হলো জীবনবৃক্ষ আর বিজ্ঞান হলো মরণবৃক্ষ’।

ইংরেজি সাহিত্যের রোমান্টিক যুগের অগ্রদূত উইলিয়াম ব্লেকের ভাষায়, শিল্পকলা জীবনকে বিস্তৃত করে। জীবনের রঙে নতুন আভা জাগিয়ে দেয় শিল্পকলা। মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকা ও টিকে থাকার অভাবনীয় রসদ জোগায় শিল্পকলা। তবে বিজ্ঞানকে বিখ্যাত এই ইংরেজ কবি মরণবৃক্ষ বলেছেন।

তিনি মূলত বুঝাতে চেয়েছেন, বিজ্ঞান জীবনে বরং বিষিয়ে তুলেছে। বিজ্ঞানের জয়যাত্রা যত ত্বরান্বিত হয়েছে, মানুষের মৃত্যু তত বিভৎস হয়ে উঠেছে। বিজ্ঞানের উৎকর্ষতায় জীবনের নানা সমস্যার সমাধান পাওয়া গেছে ঠিকই, কিন্তু তার সাথে সাথে মানুষের জীবনধারায় চিন্তাশীলতা ও উপভোগের চিন্তাও কমে গিয়েছে। বিজ্ঞান মানুষের কর্ম সহজ করেছে ঠিক, কিন্তু বিজ্ঞানই অমানবিক সব মারণাস্ত্রের জন্ম দিয়েছে। কাজেই বিজ্ঞান মানুষের জীবনকে রঙিন করেনি, বরং তা জীবনের শিল্পকলা ধ্বংস করে মৃত্যুকে আরও বিভৎস ও বেদনাদায়ক করেছে। বিজ্ঞান জীবনের গতিধারায় যে পরিবর্তন এনেছে, তা মানুষের সৃজনশীলতাকেও আড়ষ্ট করেছে।

৩০ জুন ২০২২, ০১:০৮পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।