• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

‘বিচার নিষ্ঠুর নয়, সে সাংসারিক সুখ-দুঃখের গণ্ডির উর্ধ্বে’

‘বিচার নিষ্ঠুর নয়, সে সাংসারিক সুখ-দুঃখের গণ্ডির উর্ধ্বে’

প্রতিকী ছবি

উক্তি ডেস্ক

কথায় আছে- ‘আইনের চোখ অন্ধ’। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলে। বিচারক যখন বিচারকার্য পরিচালনা করেন, তখন কে আত্মীয় আর কে অনাত্মীয় তা বিবেচ্য নয়। বরং সম্পর্ক, মোহ, খ্যাতি ও প্রাপ্তির উর্ধ্বে উঠে বিচারকার্য পরিচালনা করেন বিচারক। এজন্য কখনো কখনো বিচারের বাণী নির্মম নিষ্ঠুর মনে হয়। অন্যসব জায়গায় স্বজনপ্রীতি, আবেগ ও সহমর্মীতার প্রভাব খাটলেও, বিচারের মঞ্চে আবেগ, স্বজনপ্রীতি, প্রেম, মোহের কোনো জায়গা নেই।

বিচারালয়ে আবেগের কোনো স্থান নেই। সংসার, ধর্ম কিংবা সংস্কৃতির কোনো ছায়ায় বিচারকার্য প্রভাবিত হয় না। হওয়ার সুযোগ নেই। নাবালক ফরিয়াদির কান্নায় যেমন বিচারকার্য প্রভাবিত হয় না, তেমনি নাবালক আসামির অনুতাপেও বিচারের ফয়সালা পাল্টায় না। কারণ আদালতকে সব প্রভাবের উর্ধ্বে উঠেই কাজ করতে হয়।

বিখ্যাত বাঙালি কথাসাহিত্যিক, ঔপন্যাসিক ও প্রাবন্ধিক তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায় বলেছেন-‘বিচার নিষ্ঠুর নয়, সে সাংসারিক সুখ-দুঃখের গণ্ডির উর্ধ্বে’।

বরেণ্য এই সাহিত্যিকের ভাষায়, বিচার বা আদালত কখনোই নিষ্ঠুর নয়। বিচারের বাণী একটি নিয়মে বাঁধা। বিচারালয়ে সংসার, ধর্ম, সংস্কৃতি, সম্পর্ক কিংবা আবেগের কোনো নিয়ম প্রাধান্য পায় না। বিচার চলে আইনের নকশায়। সংসার কিংবা মানুষের আবেগ, ছেদ, প্রত্যাশার কোনো ব্যতিক্রমী মূল্য বিচারালয়ে নেই।

নিরপেক্ষ নিষ্ঠুর নিয়মে বাঁধা আইনের যাতাকলে চলে বিচার। প্রেম, সুখ, বিচ্ছেদ, দুঃখের কাছে বিচার কখনো পরাজিত হতে চায় না। বিচার সব পিছুটানের উর্ধ্বে।

২৬ জুন ২০২২, ০১:৪৬পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।