‘যাঁরা খ্যাতির শীর্ষে উঠেছেন তাঁদের পদবির দরকার হয়না’
প্রতিকী ছবি
‘চেনা বামুনের পইতা লাগেনা’ বহুল প্রচলিত একটি প্রবাদ। যার সাধারণ অর্থ- গুণী মানুষ, কর্মঠ মানুষ, জননন্দিত মানুষকে চিনতে বিশেষ কিছুর প্রয়োজন পড়ে না। যে মানুষ নন্দিত, যিনি পরোপকারী ও সেবক, সেই মানুষের বিশেষ পরিচয় এমনিতেই সৃষ্টি হয়ে যায়। মানুষের কাজ যখন সৃষ্টিশীল, মানবিক ও কল্যাণকর হয়, তখনই একজন মানুষ খ্যাতি অর্জন করে। মানুষ আজীবন বেঁচে থাকে না। মানুষ বেঁচে থাকে তার কর্মের মাঝে।
জনপ্রিয় বাঙালি কবি, সাহিত্যিক, লেখক ও প্রাবন্ধিক রাজশেখর বসু বলেছেন-‘যাঁরা খ্যাতির শীর্ষে উঠেছেন তাঁদের পদবির দরকার হয়না’।
মহাভারতের দ্বিতীয় খন্ডের জনক রাজশেখর বসুর এই উক্তির তাৎপর্য অত্যন্ত গভীর। তিনি মূলত বুঝাতে চেয়েছেন, যেসকল ব্যক্তি তাদের কর্মগুণ, সৃজনশীল মানবিক ও কল্যাণকর কর্ম দ্বারা খ্যাতি অর্জন করেছেন, তাদের আর বিশেষ পরিচয় দরকার নেই।
প্রকৃত পক্ষে খ্যাতিমান ব্যক্তিরা কখনোই পদ-পদবি বা পুরস্কারের জন্য কাজ করেন না। যেসকল মানুষ নিঃস্বার্থে মানুষের জন্য, সমাজের জন্য ও মানবতার জন্য কাজ করেন, তারাই কেবল খ্যাতি লাভ করেন। পৃথিবীতে যুগে যুগে বহু মানুষ খ্যাতি অর্জন করেছেন। নিজের কর্মগুণ ও কর্মফলের প্রভাবেই মানুষ খ্যাতিমান হয়। আবার কেউ কুখ্যাত হয়।
কাজেই যিনি ব্যক্তিগত জীবনে খ্যাতি অর্জন করেছেন, তিনি কখনোই পদ-পদবির মোহে পড়েন না। এ ধরণের মানুষ সব সময় পদবির চেয়ে পরিশ্রমকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। তাদের কাছে কল্যাণকর কাজের চেয়ে স্বীকৃতির মূল্য খুবই কম। স্বীকৃতির জন্য খ্যাতিমানরা কোনো কাজ করেন না।