‘পৃথিবীর সবচেয়ে অবিশ্বাস্য বিষয়ও বক্তৃতার জোরে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলা যায়’
প্রতিকী ছবি
হিটলারের নাৎসি বাহিনীর কথা জান আছে? হিংস্র এক অমানবিক বাহিনীর নাম ‘নাৎসি’। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের খলনায়ক হিটলারের নিকটতম এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন গোয়েবলস। এই গোয়েবলসের পরামর্শে নাৎসিদের কর্মকান্ড পরিচালিত হতো। গোয়েবলস একটা নীতি চালু করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, মিথ্যাটাকে এতবার এত বেশি প্রচার করতে থাকো, একটা সময় মিথ্যাটাই সত্য মনে হবে। গোয়েবলসের কথার সঙ্গে উপরোক্ত উক্তির মিল থাকলেও উক্তিটির ইতিবাচক, আর গোয়েবলসের তত্ত্ব ছিল নেতিবাচক।
বিখ্যাত রোমান (বর্তমান ইতালি) রাজনীতিক মার্কাস টুলিয়াস সিসেরো বলেছেন-‘পৃথিবীর সবচেয়ে অবিশ্বাস্য বিষয়ও বক্তৃতার জোরে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলা যায়’।
বিখ্যাত এই রাজনীতিকের ভাষ্যমতে, বাগ্নীতা এমন একটি গুণ যা মানুষের হৃদয়ের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে। বক্তার সম্মোহনী শক্তি সমৃদ্ধ বক্তব্যের মাঝে শ্রোতা হারিয়ে যান। পৃথিবীতে বহু চৌকস বক্তার আবির্ভাব হয়েছে। যারা মানুষের মাঝে, সমাজের কাছে আলোর বার্তা পৌছে দিয়েছেন কেবল তাদের বক্তৃতা গুণের মাধ্যমে।
একই ভাবে মিথ্যা বিষয় ও অগ্রহণযোগ্য বিষয়কেও বিশ্বাসযোগ্য করতে মানুষ বক্তৃতার ওপর নির্ভর করে থাকে। যুগে যুগে চৌকস বাকপটু ব্যক্তিদের ব্যবহার করা হতো এই কাজে। মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে কিংবা মানুষের চিন্তার জগতে দখলদারিত্ব বাড়াতে সম্মোহনী বক্তৃতার জুড়ি মেলা ভার। বক্তৃতার গুণ এমন যে, মিথ্যাকেউ নির্মল সত্য হিসেবে তুলে ধরে।