• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

‘কথা যত কম বুঝা যায়, অবুঝরা ততই ভক্তি করে’

‘কথা যত কম বুঝা যায়, অবুঝরা ততই ভক্তি করে’

প্রতিকী ছবি

উক্তি ডেস্ক

মানুষ নিজের পান্ডিত্য জাহির করতে কতই না কৌশল অবলম্বন করে। খ্যাতি পাওয়ার জন্যও মানুষের ফন্দি ফিকিরের শেষ নেই। এ ছাড়া মানুষের কাছে বিশেষ ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠার জন্যও মানুষ নানা রকম ফন্দি করে। তবে হ্যা, উদ্দেশপ্রণোদিত ব্যক্তিদের ফাঁদে জ্ঞানীরা কখনোই ধরা দেন না। অবুঝ ও মূর্খরা যে বিষয়ে যত কম জানে, সেই বিষয়কে তত বেশি গুরুত্ব দেয়।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও তেমনটিই বলে গেছেন। ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেলজয়ী কবিগুরু বলেছেন-‘কথা যত কম বুঝা যায়, অবুঝরা ততই ভক্তি করে’।

কবির বিখ্যাত এই উক্তির তাৎপর্য অত্যন্ত গভীর। তিনি মূলত বুঝাতে চেয়েছেন, মানুষের কিছু কিছু কাজ ও কথা আছে, যার অর্থ ও উদ্দেশ্য অস্পষ্ট। অথবা সাধারণ মানুষ সেসব কাজের উদ্দেশ্য ও কথার অর্থ বুঝতে পারেনা। এই না বুঝতে পারা কথা বা কাজটিকে কেউ কেউ বক্তার বা ব্যক্তির বিশেষ গুণ হিসেবে জাহির করে।

যেমন, সাহিত্যের এমন কিছু কিছু সৃষ্টি রয়েছে যার অর্থ সহজে বুঝা যায় না। অনেক বক্তা রয়েছেন যাদের বক্তব্য সহজ ভাষায় মানুষ বুঝতে পারে না। আবার জ্ঞানীদের ভাবগম্ভীর আধ্যাত্মিক কথাও অনেকে সাধারণ ভাবনায় বুঝতে সক্ষম হন না।

কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষ্য মতে, অবুঝ মানুষ ওই সব ব্যক্তি, বক্তা ও লেখকের কদর বেশি করে, যার কথা, কাজ ও কর্ম দুর্বোধ্য। দুর্বোধ্য কথার মাঝে অবুঝ মানুষেরা একটা ক্ষমতা বা বিশেষ গুণ খুঁজে পায়। কিন্তু আদতে দুর্বোধ্য কথা, কাজ ও কর্মের মাঝে কোনো কৃতিত্ব থাকে না।

১৩ জুন ২০২২, ০১:৩২পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।