• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১

‘মরিতে না হইলে বাঁচিয়া থাকিবার কোনো মর্যাদাই থাকিত না’

‘মরিতে না হইলে বাঁচিয়া থাকিবার কোনো মর্যাদাই থাকিত না’

প্রতিকী ছবি

উক্তি ডেস্ক

‘মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে, মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই’। নোবেলজয়ী বাংলা সাহিত্যিক বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের কালজয়ী এই পঙক্তির মাঝে বেঁচে থাকার আকুল আগ্রহ ফুটে উঠেছে। বেঁচে থাকার স্বার্থকতা ও বেঁচে থাকার আকুলতা কবিকেও স্পর্শ করেছে নিবীড় ভাবে।

কবিগুরু বলেছেন-‘মরিতে না হইলে বাঁচিয়া থাকিবার কোনো মর্যাদাই থাকিত না’। এই উক্তির মাধ্যমে বিশ্বকবি বুঝিয়েছেন, জীবনের স্বার্থকতা বা বেঁচে থাকার অনুভূতি সুখের অনুভূতি হয়েছে তখনই, যখন মৃত্যু মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে।

কবির ভাষায়, মৃত্যুচিন্তা ও মৃত্যুর অবধারিত পরিণতিই মানুষের বেঁচে থাকার পার্থক্য তৈরি করে দিয়েছে। বেঁচে থাকার যে অর্জন, সেটা মৃত্যুর কারণেই বারবার আগ্রহের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। মানুষ যেভাবেই হোক বেঁচে থাকতে চায়, মানুষ জীবনকে উপভোগ করতে চায়, মানুষ জীবনের যাপিত সময়কে অনুভব করতে চায়।

কিন্তু যদি মৃত্যু না থাকতো, তাহলে মানুষ বেঁচে থাকার মাঝেও কোনো সুখ পেতো না। মানুষের জীবনকে তখন অনুভূতির শ্রেণিতে বিভক্ত করা যেতো না। বেঁচে থাকা পরম এক মর্যাদা বা সৌভাগ্য। আর এই সৌভাগ্যের গুরুত্ব মৃত্যুর ধারণার মাঝেই বারবার শক্তিশালী হয়েছে।

কালো না থাকলে সাদার যেমন কোনো গুরুত ছিল না, আধার না থাকলে যেমন আলোর মাহাত্ম বুঝা যেতো না, তেমনি মৃত্যু না থাকলে মানুষের বেঁচে থাকারও কোনো বিশেষত্ব থাকতো না।

১২ জুন ২০২২, ০১:০১পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।