‘মানবতার জন্য আত্মত্যাগেই মনুষ্যত্বের প্রকৃত অর্থ নিহিত’
প্রতিকী ছবি
সৃষ্টি জীবের প্রতি দয়া ও অনুগ্রহের মানসিকতার বাস্তবায়নই মানবতা। মানুষের এমন কিছু গুণাবলী রয়েছে, যা অন্য কোনো প্রাণীর মধ্যে নেই। মানুষ যখন মানবীয় গুণাবলীতে সমৃদ্ধ হয়, মানুষ যখন মানবীয় গুণচর্চায় সমুন্নত থাকে, তখনই সেই মানুষের মাঝে মানবতার নিদর্শন ফুটে ওঠে। মানবিক মানুষ ত্যাগে বিশ্বাসী। এই শ্রেণির মানুষ পরোপকারী, সহিষ্ণু, ধৈর্যশীল, সত্যবাদি, আমানদার হয়ে থাকে।
বিখ্যাত রুশ লেখক ও দার্শনিক লিও তলস্তয় মানবতা ও মনুষ্যত্বের মাঝে দারুণ এক যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছেন। বিখ্যাত এই সমাজ সংস্কারক বলেছেন-‘মানবতার জন্য আত্মত্যাগেই মনুষ্যত্বের প্রকৃত অর্থ নিহিত’।
কালজয়ী এই উক্তির মর্মার্থ অনেক গভীর। তবে সাধারণ চিন্তায় বলা যেতে পারে মানবতা, মানবিকতা ও মনুষ্যত্বের প্রকৃত বাস্তবায়ন তখনই বুঝা যায়, যখন কোনো মানবিক মানুষ আত্মত্যাগ করে। এই আত্মত্যাগ মানে জীবন বিসর্জন নয়। এই আত্মত্যাগ বলতে লিও তলস্তয় বুঝিয়েছেন, মানুষের মাঝে জেগে উঠা খারাপ অভ্যাস, কর্ম ও দোষ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখাই মূলত আত্মত্যাগ।
মানবিক মানুষ সবসময় নিজের কুপ্রবৃত্তি দমন করে থাকে। মানুষের জন্য কাজ করতে গিয়ে মানবিক মানুষ সবসময় নিজের চাহিদাকে বিসর্জন দেয়। নিজের মনের চাওয়া পাওয়ার লাগাম টেনে ধরে একজন মানুষ যখন মানবিকতা প্রদর্শন করে, তখনই কেবল প্রকৃত মনুষ্যত্বের অর্থ প্রকাশ পায়।