• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

‘রক্তপাতহীন যুদ্ধের নাম রাজনীতি আর রক্তক্ষয়ী রাজনীতির নাম যুদ্ধ’

‘রক্তপাতহীন যুদ্ধের নাম রাজনীতি আর রক্তক্ষয়ী রাজনীতির নাম যুদ্ধ’

প্রতিকী ছবি

উক্তি ডেস্ক

যুগে যুগে দেশে দেশে যুদ্ধ চলেছে বছরের পর বছর। যুদ্ধের হিংস্রতায় মানবতা বারবার হেরে গেছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কিংবা হালের ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, কোনো যুদ্ধই মানুষের জন্য কল্যাণ বয়ে আনেনি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা মনে করেন, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের বোঝাপড়া যখন ব্যর্থ হয়, তখনই বৃহৎ যুদ্ধের শুরু।

বিখ্যাত চীনা দার্শনিক, ঐতিহাসিক রাজনীতিক ও সংস্কারক মাও সে তুং বলেছেন-‘রক্তপাতহীন যুদ্ধের নাম রাজনীতি আর রক্তক্ষয়ী রাজনীতির নাম যুদ্ধ’।

মাও সে তুংয়ের উক্তিটির যথার্থতা বেশ গভীরে। প্রকৃত পক্ষে রাজনীতিক ব্যক্তিত্বরা সবসময়ই একটি যুদ্ধের মধ্য দিয়ে যান। যে যুদ্ধ বাকযুদ্ধ বা যুক্তির মাধ্যমে দরকষাকষি করে জাতীয় স্বার্থ উদ্ধারের যুদ্ধ। বর্তমানে বিশে^র মোড়ল রাষ্ট্রগুলোর একের সঙ্গে অন্যের স্নায়ুযুদ্ধ চলমান। মাও সে তুং রক্তপাতহীন এই যুদ্ধকেই গুরুত্ব দিয়েছেন।

আলোচনার টেবিলে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের ক্ষুরধার বক্তব্যই যুদ্ধের অস্ত্র। এই যুদ্ধে রক্তপাত নেই। কিন্তু অধিকার আদায়ের নিশ্চয়তা বেশি। অন্যদিকে যখন আলোচনার টেবিলে রাজনীতি ব্যর্থ হয়, যখন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ব্যর্থ হন, তখনই যুদ্ধের হানা।

বলা যেতে পারে, রাজনীতি যখন আর মানবিক থাকে না, মানুষের জন্য যখন রাজনীতি থাকে না, তখন সেই রাজনীতি রক্তক্ষয়ী রাজনীতির রূপ পায়। রাজনীতিকদের আগ্রাসী রাজনৈতিক নীতিই মূলত রক্তক্ষয়ী রাজনীতি। আর এই রাজনীতির ফলাফল ‘যুদ্ধ’।

০৬ জুন ২০২২, ১১:৩৪এএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।