• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

‘দয়া সে যত ক্ষুদ্রই হোক, বিফলে যায় না’

‘দয়া সে যত ক্ষুদ্রই হোক, বিফলে যায় না’

প্রতিকী ছবি

উক্তি ডেস্ক

সৃষ্টির প্রতি সৃষ্টার ‘দয়া’ পরম প্রাপ্তি। পরম দয়ার কারণেই সৃষ্টিকূলের প্রতি সৃষ্টার বিশেষ মনোযোগ নিবদ্ধ থাকে। কাজেই পরম গুণ ‘দয়া’ স্বয়ং সৃষ্টার গুণ। মানবজাতি ও প্রাণীকুলের মাঝেও এই গুণ পরিলক্ষিত হয়। দয়াপরবশ হয়ে কোনো কাজ করলে সেই কাজের ইতিবাচক প্রতিদান মিলবেই। যে ব্যক্তি যতবেশি দয়াবান, তিনি ততবেশি সম্মানিত। ‘দয়া’ মানুষকে বিশেষ রূপে মর্যাদাবান করে।

বিখ্যাত প্রাচীন গ্রীক দার্শনিক, লেখক, সাহিত্যিক, গদ্যকার ঈশপ বলেছেন-‘দয়া সে যত ক্ষুদ্রই হোক, বিফলে যায় না’। ঈশপের এই উক্তিটির যথার্থ প্রমাণের চেষ্টা করাটাও বৃথা। কারণ, দয়াবান মানুষের কৃত কর্মের ফল সবসময় মিষ্ট হয়।

মনীষীরা ভাষায়, দয়া এক পরম গুণ। সবাই দয়া প্রদর্শনের মতো মানবিকতা সম্পন্ন হয় না। দয়াবান হওয়ার জন্য, কোনো বিষয়ে দয়া প্রদর্শনের জন্য ধীরে ধীরে নিজেকে গড়ে তুলতে হয়। দয়া প্রদর্শন করার মাধ্যমে ব্যক্তির মহত্বের প্রকাশ ঘটে। দয়া এমন একটি গুণ, যা মানুষের আত্মীক চরিত্রের বিকাশ ঘটায়।

মানুষ যে যতটুকু দয়াবান, তিনি ততটুকুই সম্মানিত। আপনি আজ কাউকে দয়া দেখাবেন, কারো ওপরে দয়া করবেন, আগামীতে আপনি অবশ্যই এই দয়া প্রদর্শনের ফল পাবেনই। দয়া দেখানোর মতো এই পরম গুণ সবার মাঝে থাকে না। প্রকৃত মানুষের মাঝেই কেবল ‘দয়া’ প্রদর্শনের নজীর মেলে।

০২ জুন ২০২২, ০১:২৮পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।