• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

‘স্বেচ্ছায় মেনে নেয়া দুঃখ ঐশ্বর্যের মতোই ভোগ করা যায়’

‘স্বেচ্ছায় মেনে নেয়া দুঃখ ঐশ্বর্যের মতোই ভোগ করা যায়’

প্রতিকী ছবি

উক্তি ডেস্ক

জীবন ও দর্শনের এক দারুণ মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন সাহিত্যে। আর সেই কঠিন কাজটি করে গেছেন বাঙালির অন্যতম সেরা সাহিত্যিক, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায়। তিনি বলেছেন- ‘স্বেচ্ছায় মেনে নেয়া দুঃখকে ঐশ্বর্যের মতোই ভোগ করা যায়’।

মূলত তিনি এই উক্তির মাধ্যমে বুঝাতে চেয়েছেন, সুখ ও দুঃখ জীবনের অবিচ্ছেদ্য আপেক্ষিক অনুভূতি। কোনো মানুষই যেমন শতভাগ সুখী নয়, তেমনি কেউই সারাজীবন দুঃখের সঙ্গে বাস করে না। মনস্তাত্বিকরা বলছেন, সুখ ও দুঃখ কতটা প্রবল ও তীব্র তা কেবল মনের প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে।

মনোবিজ্ঞান ও দর্শনের ধারণা, মনের ধারণা ও মনের বাসনার ওপর সুখ ও দুঃখ বেশ খানিক নির্ভরশীল। একই কাজে একজন যখন দুঃখ পায়, সেই একই কাজে কেউ না কেউ সুখী হয়। তার মানে, প্রতিটি কাজেই সুখ ও দুঃখ আছে। আপনি যখন খেলার মাঠে হেরে গিয়ে কাঁদেন, ঠিক তখনই একই মাঠে দাঁড়িয়ে কেউ উল্লাস করে।

শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায়ের সঙ্গে আমরাও বলতে পারি, দুঃখকে বড় হতে দেয়া বোকামি। দুঃখের স্মৃতি ও দুঃখ খুব সহজেই মেনে নেয়া শিখে গেলে তা আর দুঃখ থাকে না। প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির ব্যবচ্ছেদ না ভেবে, দুঃখের উৎস না খুঁজে, দুঃখকে বরং সহজে মেনে নিন, এতেই আপনার মাঝে হয়তো অনন্য এক সুখ বেড়ে উঠবে। দুঃখকে পুষে রাখলে দুঃখ বাড়বে, কাজেই তা ভুলে গেলেই সুখের অনুভূতি ফিরবে।

২৪ মে ২০২২, ০৮:২৯পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।