• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

‘বিনয় হচ্ছে জ্ঞানের ফলশ্রুতি’

‘বিনয় হচ্ছে জ্ঞানের ফলশ্রুতি’

প্রতিকী ছবি

উক্তি ডেস্ক

বহুল প্রচলিত একটি প্রবাদ, ‘মুর্খ বন্ধুর চেয়ে জ্ঞানী শত্রুও উত্তম’। এই প্রবাদের যথার্থ প্রমাণের কোনো প্রয়োজন পড়ে না। কারণ এটি চরম বাস্তবিক একটি প্রবাদ। জ্ঞান ছাড়া একজন মানুষ কখনোই পূর্ণতা পেতে পারে না। জ্ঞানী হতে হলে প্রয়োজন শিক্ষার। জ্ঞানী ব্যক্তির মাঝে মানবিক গুণাবলী প্রকাশ পায়।

জ্ঞানী ব্যক্তি বিনয়, নম্রতা, পরমতসহিষ্ণুতা, ধৈর্য, সাহসিকতার গুণে গুণান্বিত হয়। একই ভাবে প্রকৃত জ্ঞানী ব্যক্তি মানুষের অনিষ্ঠ করা, নিন্দা করা, হিংসা করা, ক্ষতিসাধন করা, লোভ ও অন্যান্য পাপাচার থেকে বেঁচে থাকে। জ্ঞানী ব্যক্তি প্রতিশোধ পরায়ণ হয় না। বরং অন্যকে ক্ষমা করে দেয়াই জ্ঞানীর মহত্বের লক্ষণ।

ইসলামের চতুর্থ খলিফা হযরত আলী (রা.) বলেছেন- ‘বিনয় হচ্ছে জ্ঞানীর ফলশ্রুতি’। ইসলামী দার্শনিক, ইসলামী সালতানাতের সফল এই খলিফা জ্ঞানচর্চায় খুবই আগ্রহী ছিলেন। তিনি বহু হাদিস বর্ণনা করে গেছেন। মানবজীবন, জ্ঞান, শিক্ষা, আদর্শ, সমাজব্যবস্থা, রাজনীতি ও অর্থনীতির বিভিন্ন বিষয়ে তিনি যুগান্তকারী দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন। যা যুগ যুগ ধরে মুসলমানদের মাঝে ক্রিয়াশীল।

হযরত আলীর (রা.) উপরোক্ত উক্তির তাৎপর্য সহজ ভাষায় বলতে গেলে, একজন মানুষ যখন জ্ঞানী হয়, মানুষ যত জ্ঞানের কাছে নিজেকে সোপর্দ করে, সেই মানুষ তত বেশি বিনয়ী হয়। বিনয় একটি মহৎ গুণ। অন্যদিকে মূর্খের আচরণ সব সময় ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও অমসৃণ হয়।

২৩ মে ২০২২, ০৯:১১পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।