• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

‘পরিবেশ ধ্বংস করে আমরা সুস্থ সমাজ আশা করতে পারি না’

‘পরিবেশ ধ্বংস করে আমরা সুস্থ সমাজ আশা করতে পারি না’

প্রতিকী ছবি

উক্তি ডেস্ক

পরিবেশ ও প্রতিবেশের প্রভাব সমাজে ফুটে ওঠে। মানুষ সামাজিক জীব হওয়ায় পরিবেশের প্রভাব মানুষের আচার-আচরণে প্রকাশ পায়। বিরূপ পরিবেশ ও প্রতিবেশে বেড়ে ওঠা মানুষের আচরণও ভিন্ন। তাই, পরিবেশের ভিন্নতার কারণে সমাজের চিত্রও ভিন্ন হয়ে থাকে।

যেমন ধরুন, মরু অঞ্চলের প্রকৃতি রুক্ষ্ম-রূঢ় ও চরমভাবাপন্ন। এ কারণে মরু অঞ্চলের বাসিন্দাদের জীবনযাত্রা ও আচার-আচরণও রুক্ষ্ম। আমাদের দেশের কথায় ভাবুন, চরাঞ্চলে কিংবা নদীভাঙন প্রবণ এলাকায় পরিবেশ হুটহাট বৈরি হয়ে ওঠে। পরিবেশ ছন্নছাড়া রকমের। একটু খেয়াল করে দেখবেন, চরাঞ্চল ও নদীভাঙন প্রবণ এলাকার মানুষও বৈরি ও আগ্রাসী হয়ে থাকে।

সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, নির্মল সতেজ প্রকৃতির পরিবেশ মানুষের মন-মননে প্রভাব ফেলে। প্রাকৃতিক পরিবেশ যেখানে যত সুন্দর, মানুষের মন ও মানুষের আচরণ সেখানে তত উন্নত। কাজেই মানুষের উন্নত আচরণ ও উন্নত মানসিকতার মানুষ পেতে হলে সুন্দর ও সাবলীল পরিবেশের বিকল্প নেই।

বিখ্যাত মার্কিন সাংস্কৃতিক নৃবিজ্ঞানী মার্গারেট মিড বলেছেন- ‘পরিবেশ ধ্বংস করে আমরা সুস্থ সমাজ আশা করতে পারি না’। বিখ্যাত এই মার্কিন লেখক, আলোচক ও গবেষক মনে করেন, মানুষ ক্রমেই রুক্ষ্ম ও রূঢ় হয়ে উঠছে। মানুষের এই রূঢ়তার পেছনে রয়েছে পরিবেশ বিনষ্টের পরোক্ষ কারণ।

যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় জন্মগ্রহণ করা গবেষক মার্গারেট বুঝাতে চেয়েছেন, মানুষ ভালো থাকলে সমাজ ভালো থাকবে। আর মানুষকে মানবিক রাখতে হলে প্রয়োজন নির্মল পরিবেশ। কাজেই পরিবেশ বিনষ্ট করে, পরিবেশে উপাদানগুলো ধ্বংস করে সুস্থ ও সুন্দর সমাজ বিনির্মাণ সম্ভব নয়।

২২ মে ২০২২, ১১:১৮এএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।