• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

‘ভালোবাসার অভাব নয়, বন্ধুত্বের অভাবই বিবাহিত জীবনকে বিষিয়ে তোলে’

‘ভালোবাসার অভাব নয়, বন্ধুত্বের অভাবই বিবাহিত জীবনকে বিষিয়ে তোলে’

প্রতিকী ছবি

উক্তি ডেস্ক

ভালোবাসা, বন্ধুত্ব কিংবা দাম্পত্য জীবন, এই তিনই যেন সমার্থক। কিন্তু বিবাহিতদের মাঝে কেমন যেন একটা আক্ষেপ লক্ষ্য করা যায়। যেন প্রবাদ প্রচলিত রয়েছে-‘পুরুষ মানুষ দুই প্রকার, জীবিত আর বিবাহিত’। মূলত বিবাহিত জীবনের ছন্দপতন একটি সময় গিয়ে আক্ষেপের স্তুপে রূপ নেয়। বৈবাহিত জীবনের নানা দায়িত্ব ও কর্তব্য বিবাহপূর্ব জীবনের অভ্যাসে ব্যাপক পরিবর্তন আনে। যে কারণে ভালোবাসা ও বন্ধুত্বের সম্পর্কে নতুন রূপ প্রকাশ পায়।

এই নতুন রূপের সঙ্গে সবাই খাপখাইয়ে নিতে পারে না। কেউ কেউ বিবাহিত জীবনে হতাশা ও একাকিত্বে ভুগে থাকেন। এর পেছনে যে ভালোবাসার ঘাটতি থাকে, তা কিন্তু নয়। বরং বিবাহিত জীবনের ভালোবাসা ও বন্ধুত্বের নতুন রূপ সবাই উপলব্ধি করতে পারে না।

আবার বৈবাহিক জীবনকে আনুষ্ঠানিক ভালোবাসাপূর্ণ সম্পর্কের মোড়কে বেধে ফেলাও ভয়াবহ। কারণ এই রূপটিই সমাজে বেশি পরিচিত। কিন্তু হওয়া উচিত ছিল ভিন্ন কিছু। দাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রী একের অপরের বন্ধু হওয়া বেশি প্রয়োজন। একের অপরের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের ধরণেও বৈচিত্র্য থাকা আবশ্যক। তা না হলে, বিবাহিত জীবনে ভালোবাসা ও বন্ধুত্বের ঘাটতি বেড়ে যেতে পারে।

যেমন বিখ্যাত জার্মান দার্শনিক, লেখক ও সাহিত্যিক ফ্রেডরিক নিৎসে বলেছেন- ‘ভালোবাসার অভাব নয়, বন্ধুত্বের অভাবই বিবাহিত জীবনকে বিষিয়ে তোলে’। বিখ্যাত এই দার্শনিক বুঝাতে চেয়েছেন যে, বিবাহিত জীবনে ভালোবাসার অভাব থাকে না। কিন্তু দম্পতির একে অপরের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে না। এই বন্ধুত্বহীনতায় মারাত্মক।

২১ মে ২০২২, ০৭:৫৬পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।