• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

‘মৃত্যু আসে তিলে তিলে শ্রান্তি ম্লান সুপ্তির বন্ধনে’

‘মৃত্যু আসে তিলে তিলে শ্রান্তি ম্লান সুপ্তির বন্ধনে’

প্রতিকী ছবি

উক্তি ডেস্ক

মৃত্যু এক অবধারিত সত্য। জীবন যেখানে, মৃত্যুও তার নিকটেই। জীব মাত্রই মৃত্যুর যবনিকা। এই অবধারিত সত্যটি জানার পরও জীবন থেমে নেই। জীবন ছুটছে জীবনের গতিতে। শ্রমে, ঘামে, কর্মে ব্যস্ত মানুষ। হাজার ব্যস্ততার ফাঁকে কোনো এক সময় হুট করেই সামনে চলে আসে মৃত্যুদূত।

এটাই যেন চিরন্তন নিয়তি। প্রতিটি জীবনের পরিসমাপ্তি মৃত্যুর মাঝেই লিখে রেখেছেন স্রষ্ঠা। এর যেন হেরফের হওয়ার সুযোগ নেই। মৃত্যু এক নিথর উপসংহার। যেখানে সব শক্তি নিমিষেই বিলীন হয়ে যায়। দাপুটে জীবনও মুহূর্তেই স্থবির হয়ে পড়ে।

মৃত্যু নিয়ে যুগে যুগে মনীষীরা নিজেদের অনুভূতি বা চিন্তার দর্শন প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ আবার স্বপ্ন দেখেছেন মৃত্যুঞ্জয়ী হওয়ার। মৃত্যুকে আটকে রাখার বৃথা চেষ্টার গল্পও এই গ্রহে শোনা গেছে। কিন্তু সব কিছুই মৃত্যুর সামনে মৃত্যুবরণ করেছে।

মনীষী ও চিন্তাশীলদের কাছে মৃত্যু ভাবনা ভিন্ন ভিন্ন। মৃত্যুকে একেকজন একেক রকম করে সংজ্ঞায়িত করেছেন। তবে ‘মুসলিম রেনেসাঁর কবি’ ফররুখ আহমেদ বলেছেন- ‘মৃত্যু আসে তিলে তিলে শ্রান্তি ম্লান সুপ্তির বন্ধনে’।

‘সাত সাগরের মাঝি’, ‘সিরাজাম মুনীরা’-সহ অসংখ্য সাহিত্যকর্মের সৃষ্ঠা ফররুখ আহমেদের এই অনুধাবনের মাঝে রয়েছে বাস্তবতা ও ভাবনার সংমিশ্রণ। জীবন তিলে তিলে পরিশ্রান্ত হয়, জীবন শ্রম ব্যয় করে করে ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ে। একটা সময় জীবন দুর্বল হয়ে নিজেকে অনাবিল অনন্ত এক ঘুমের কাছে সোপর্দ করে। আর এই আত্মসমর্পনের বিস্তর বর্ণনাকে কবি ফররুখ আহমেদ অল্প কথায় বলেছেন- ‘মৃত্যু আসে তিলে তিলে শ্রান্তি ম্লান সুপ্তির বন্ধনে’।

১৯ মে ২০২২, ০৬:৫৫পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।