‘শিল্পীকে বন্দী করা যায়, তার গানকে নয়’
প্রতিকী ছবি
যুগে যুগে অধিকার আদায়ের আন্দোলনে গানের ভাষা ছিল ক্ষুরধার। জ্বালাময়ী গানের ভাষায় বহু স্বৈরাচার, অত্যাচারি ও অনিয়মের জাল রুদ্ধ হয়েছে। নেলসেন ম্যান্ডেলার যুগপৎ আন্দোলন কিংবা ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, অধিকার আদায়ের সব আন্দোলনে শিল্পী ও সংগীতের অবস্থান ছিল জোরালো।
তেমনি এক কালজয়ী মার্কিন শিল্পী হ্যারি বেলাফোন্টে। অসংখ্য বিখ্যাত গানের জনক এই শিল্পী মানবতার জন্য মানুষের জন্য গান করে গেছেন। তিনি বলে গেছেন- ‘শিল্পীকে বন্দী করা যায় তার গান কে নয়’।
গুণী এই শিল্পীর কথা প্রসঙ্গে বলতে হয়, ৭১-এ নিউইয়র্কে আয়োজিত জর্জ হ্যারিসন-রবীশঙ্করের ‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের জ্বালাময়ী গান কিংবা হালের নচিকেতা; শিল্পী ও সংগীতের ঝাঁঝ যেন একই। মানুষের হৃদয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করা এসব সংগীত ও শিল্পী আজীবন টিকে রবে।
নিভৃতে থাকা জনতার জাগরনে কালে কালে বিখ্যাত হয়েছে অসংখ্য গান। গান গেয়ে কারাবরণের ঘটনাও হরহামেশা ঘটছে। অনিয়মের বিরুদ্ধে, মানবতাবাদী গানের কারণে যুগে যুগে শিল্পীদের কারাবরণ করতে হয়েছে। কারো কারো সংগীত চর্চা বন্ধ করে দেয়া হতো, ধ্বংস করা হয়েছে বহু সংগীতশালা। কিন্তু তারপরও টিকে আছে গান।
কালের বিবর্তনে অসংখ্য শিল্পী পৃথিবী ছেড়ে বিদায় হয়েছেন। কিন্তু কালজয়ী সেসব শিল্পীর গান এখনো মানুষের অন্তরে দোলা দেয়। মানুষের মাঝে জাগরনের ঢেউ তোলে উথাল পাথাল তরঙ্গের মতো।