• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

প্রথম মোবাইল ফোন যেভাবে এলো

প্রথম মোবাইল ফোন যেভাবে এলো

ছবি- সংগৃহিত

ফিচার ডেস্ক

বর্তমান অত্যাধুনিক এই সময়ের বহুল ব্যবহৃত প্রযুক্তি ‘মোবাইল ফোন’। বিশ্বের প্রায় ২০ শতাংশ প্রযুক্তিভিত্তিক কাজকর্ম এখন মোবাইল ফোনেই করা সম্ভব। তবে আজকের এই স্মার্ট মোবাইল ফোন একদিনে এই অবস্থানে আসেনি। প্রথম মোবাইল ফোনের ইতিহাস ছিল অন্যরকম।

প্রিয় পাঠক, চলুন দেখে নেয়া যাক, প্রথম মোবাইল ফোন সম্পর্কে কিছু তথ্য-

আবিষ্কার:

১৯৭৩ সালে আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে ইঞ্জিনিয়ার মার্টিন কুপার মোবাইল ফোন আবিষ্কার করেন। মার্টিন কুপার মোবাইল ফোনের জনক। মার্কিন এই ইঞ্জিনিয়ার একটি ছোট টেলিকম কোম্পানিতে কাজ করতেন। ওই কোম্পানির নাম ছিল ‘মোটরোলা’। মার্টিন কুপার স্বপ্ন দেখতেন, একদিন তিনি তারবিহীন মোবাইল ফোন আবিষ্কার করবেন। কিন্তু কে জানতো, একদিন তিনি সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেবেন।

বিবিসির এক প্রতিবেদককে দেয়া একান্ত সাক্ষাতকারে মার্টিন কুপার মোবাইল ফোন আবিষ্কার নিয়ে কথাও বলেছেন। মার্টিন কুপার বলেছিলেন- “কারণ, এর আগের একশ’ বছর ধরে টেলিফোন মানেই ছিল এমন একটা জিনিস - যা আমাদের কাজের টেবিল বা বাড়িতে একটা তারের সাথে যুক্ত। বলতে পারেন এটা একটা কুকুরের গলার শেকলের মতোই। কিন্তু আমাদের মনে হয়েছিল, মানুষ আসলে মৌলিকভাবেই স্থানান্তরযোগ্য এবং সে যেখানেই থাকুক না কেন - সবসময়ই অন্যদের সাথে যুক্ত থাকবে। কাজেই আমাদের সেই যন্ত্র তৈরি করতে হবে যা আগে কখনো তৈরি হয় নি। এবং ঠিক সেই জিনিসটাই আমরা বানিয়ে ফেললাম - মাত্র তিন মাসের মধ্যে।”

তবে ইতিহাস বলছে, ১৯৬০-এর দশকে স্টারট্রেক নামের একটি টিভি শো জনপ্রিয় হয়েছিল। ওই টিভি শো-তে অভিনয়ের সময় ‘কমিউনিকেটর’ নামে হাতে ধরার যায় এমন ছোট একটি জিনিস ব্যবহার করতেন অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। ওই ছোট জিনিসটিই মার্টিন কুপারকে মোবাইল ফোন বানাতে আরও বেশি উদ্বুদ্ধ করে।

তবে মার্টিন কুপার এবং তার দল প্রথম হাতে-ধরা ফোনের প্রোটোটাইপটি উপস্থাপন করেছিলেন ১৯৭৩ সালের এপ্রিল মাসে। নিউইয়র্কের হিলটন হোটেলে মোবাইল ফোনের প্রথম প্রোটোটাইপ উপস্থাপন করা হয়। তবে সেটির সঙ্গে তৎকালীন সায়েন্স ফিকশন কমিউনিকেটর কিংবা বর্তমানের মোবাইল ফোনের কোনো মিল ছিল না।

সেই প্রথম মোবাইল ফোন ছিল ১০ ইঞ্চি লম্বা, দু ইঞ্চি চওড়া, এবং ৪ ইঞ্চি উঁচু। জিনিসটা ছিল অনেক ভারি। যার ওজন ছিল প্রায় এক কেজিরও বেশি। আর ওই ডিভাইস দিয়ে একটানা ২০ মিনিটের বেশি কথা বলাও যেতো না।

২৬ জুন ২০২২, ০৩:৫৬পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।