• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সূর্য সেন

সূর্য সেন

ফিচার ডেস্ক

সূর্য সেন বা সূর্যকুমার সেন যিনি মাস্টারদা নামে সমধিক পরিচিত। ভারতবর্ষের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নেতা হিসেবে পরিচিত ব্যক্তিত্ব। পূর্ববঙ্গে জন্ম নেওয়া এই বাঙালি বিপ্লবী তৎকালীন ব্রিটিশ বিরোধী সশস্ত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন এবং নিজ জীবন বলিদান করেন। সূর্যসেনের বাহিনী কয়েকদিনের জন্যে ব্রিটিশ শাসনকে চট্টগ্রাম এলাকা থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল। তাঁর সম্মানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি করে আবাসিক হলের নামকরণ করা হয়। এছাড়া কলকাতা মেট্রো, সূর্য সেনের স্মরণে বাঁশদ্রোণী মেট্রো স্টেশনটির নামকরণ করেছে মাস্টারদা সূর্য সেন মেট্রো স্টেশন।

১৮৯৪, ২২ মার্চ: সূর্য সেন চট্টগ্রামের রাউজান থানার নোয়াপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে পিতা মাতাকে হারানো সূর্য সেন কাকা গৌরমনি সেনের কাছে মানুষ হয়েছেন।

১৯১২ : সূর্য সেন চট্টগ্রামের নন্দনকাননে অবস্থিত হরিশদত্তের ন্যাশনাল স্কুল থেকে প্রবেশিক পাশ করে চট্টগ্রাম কলেজে এফ. এ.-তে ভর্তি হন।

১৯১৬ : মুর্শিদাবাদের বহররমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজের ছাত্র থাকাকালীন সময়ে সূর্য সেন সরাসরি রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত হন।

১৯১৮ : তিনি মুর্শিদাবাদের বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজ থেকে বি.এ পাশ করেন এবং চট্টগ্রামে ফিরে এসে ব্রাহ্ম সমাজের প্রধান আচার্য্য হরিশ দত্তের জাতীয় স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন।

১৯১৮ : সূর্য সেন শিক্ষাজীবন শেষ করে চট্টগ্রামে এসে গোপনে বিপ্লবী দলে যোগ দেন।

১৯২০ : সাম্যাশ্রম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সূর্য সেনের বৈপ্লবিক প্রস্তুতির শুরু।

১৯২১: এক দল যুবকদের নিয়ে সূর্যসেন অসহযোগ আন্দোলনে যোগদান করেন।

১৯২৮: কংগ্রেসে যোগদান এবং পরবর্তীতে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি।

১৯১৯: তিনি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলা -এর কানুনগোপাড়ার নগেন্দ্রনাথ দত্তের ষোল বছরের কন্যা পুষ্পকুন্তলা দত্তকে বিয়ে করেন।

১৯২৩, ১৩ ডিসেম্বর: টাইগার পাস এর মোড়ে সূর্য সেনের গুপ্ত সমিতির সদস্যরা প্রকাশ্য দিবালোকে বেতন বাবদ নিয়ে যাওয়া ১৭,০০০ টাকার বস্তা ছিনতাই করে।

১৯২৬, ৮ অক্টোবর: সূর্য সেন পলাতক অবস্থায় কোলকাতার আমহার্স্ট স্ট্রীটের এক মেসে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। সেখান থেকে তাকে বোম্বাইয়ের (মুম্বাই) রত্নগিরি জেলে পাঠানো হয়।

১৯২৮: সূর্য সেন ও গণেশ ঘোষ জেল থেকে ছাড়া পান।

১৯২৯: মহিমচন্দ্র দাশগুপ্ত এবং বিপ্লবী সূর্য সেন যথাক্রমে চট্টগ্রাম জেলা কংগ্রেসের সভাপতি এবং সম্পাদক নির্বাচিত হন।

১৯৩০, ১৮ - ২২ এপ্রিল: রিপাবলিকান আর্মি গঠনের মধ্যে দিয়ে একান্নজনের বিপ্লবী দল নিয়ে পাহাড়তলী ও দামপাড়া অস্ত্রাগার দখল এবং ঐতিহাসিক জালালাবাদ যুদ্ধের নেতৃত্ব দেন মাস্টারদা।

১৯৩৩, ২ রা ফেব্রুয়ারি: পটিয়া থানার গৈরালা গ্রামের আশ্রয় ঘাঁটিতে মাস্টারদা সূর্যসেন ব্রিটিশ বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন।

১৯৩৪, ১২ জানুয়ারি: সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বীর যোদ্ধা, বাংলা স্বাধীনতার প্রথম স্বপ্নদ্রষ্টা চট্টগ্রাম জেলে ফাঁসিতে আত্মাহুতি দেন।

 

 

তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া, জাগো নিউজ

 

এবি/এসজে

০১ আগস্ট ২০২১, ০১:৫৯পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।