• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মুহম্মদ কুদরাত-এ-খুদা

মুহম্মদ কুদরাত-এ-খুদা

ফিচার ডেস্ক

মুহম্মদ কুদরাত-এ-খুদা বা ড. কুদরাত-এ-খুদা ছিলেন একজন বাংলাদেশী রসায়নবিদ, গ্রন্থকার এবং শিক্ষাবিদ। তার আবিষ্কারের মধ্যে পাট ও পাটকাঠি থেকে রেয়ন, পাটকাঠি থেকে কাগজ এবং রস ও গুড় থেকে মল্ট ভিনেগার আবিষ্কার উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও তিনি বনৌষধি, গাছগাছড়ার গুণাগুণ, পাট, লবণ, কাঠকয়লা, মৃত্তিকা ও অনান্য খনিজ পদার্থ নিয়েও গবেষণা করেন। বিজ্ঞানী হিসাবে তার ও তার সহকর্মীদের ১৮টি আবিষ্কারের পেটেন্ট রয়েছে, যার মধ্যে ৯টি পাটসংক্রান্ত।

১৯০০, ১ ডিসেম্বর: পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের মাড়গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পীর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন মুহম্মদ কুদরাত-এ-খুদা।

১৯১৮: কলকাতা মাদ্রাসা থেকে তিনি ম্যাট্রিক পাশ করেন।

১৯২৫: প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে রসায়নে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে এম.এস.সি পাশ করেন।

১৯২৯: লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় হতে Stainless Configuration of Multiplanmet Ring বিষয়ে গবেষণার জন্য তিনি রসায়নে ডি.এসসি. ডিগ্রি লাভ করেন।

১৯৩১: প্রেসিডেন্সি কলেজে শিক্ষক হিসাবে যোগদানের মাধ্যমে নিজের কর্মজীবন শুরু করেন কুদরাত-এ-খুদা ।

১৯৩৬: তিনি এ কলেজে বিভাগীয় প্রধান হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

১৯৪২: বাংলার প্রধানমন্ত্রী শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক তাকে ইসলামিয়া কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে নিযুক্ত করেন এবং

১৯৪৬: প্রেসিডেন্সি কলেজে অধ্যক্ষ হিসাবে যোগদান করেন।

১৯৪৭-১৯৪৯: দেশ বিভাগের পর ড. কুদরাত-এ-খুদা পূর্ব পাকিস্তানে চলে আসেন এবং জনশিক্ষা পরিচালকের দায়িত্ব নেন।

১৯৫০-১৯৫৩: তিনি পাকিস্তান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞান বিষয়ক উপদেষ্টা হিসাবে নিয়োজিত হন ।

১৯৫৩-১৯৫৪: পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তান মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৫৫ - ১৯৬৩: পর্যন্ত পাকিস্তান বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণাগারসমূহের পরিচালক ছিলেন। অক্লান্ত পরিশ্রমে তিনি চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে গড়ে তুলেন বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণাগার। বাংলাদেশের দেশীয় শিল্পের বিকাশ হয় তার হাত দিয়ে।

১৯৬৩: চাকুরি থেকে অবসর নিয়ে পাকিস্তান কেন্দ্রীয় বাংলা উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন।

১৯৭২, ২৬ জুলাই: দেশের শিক্ষাব্যবস্থা পুনর্গঠনের জন্য যে শিক্ষাকমিশন গঠন করা হয় কুদরাত-এ-খুদা তার সভাপতি নির্বাচিত হন। তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট প্রণীত হয়। পরে তার নাম অনুসারে রিপোর্টটির নাম রাখা হয় 'ড. কুদরাত-এ-খুদা শিক্ষাকমিশন রিপোর্ট'।

১৯৭৬: শিক্ষায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে একুশে পদক প্রদান করে।

১৯৭৭, ৩ নভেম্বর: ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন কুদরাত-এ-খুদা।

১৯৮৪: বাংলাদেশ সরকার তাকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে।

 

 

তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া

 

এবি/এসজে

 

 

০১ আগস্ট ২০২১, ০২:২৮এএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।