• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

করোনায় রক্তদান

করোনায় রক্তদান

ফিচার ডেস্ক

মহামারি করোনা ভাইরাসের ছোবলে বিপর্যস্ত পুরো বিশ্ব। বাংলাদেশেও ভয়ংকর রূপ ধারন করেছে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি। চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো। এরই মধ্যে মানুষের অন্যান্য সমস্যার জন্য চিকিৎসার প্রয়োজন হচ্ছে, দরকার পড়ছে জরুরি ভিত্তিতে রক্ত। গর্ভকালীন জটিলতা, দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ব্যক্তি, রক্তস্বল্পতায় আক্রান্ত শিশুদের রক্তদান জীবন রক্ষাকারী ভূমিকা পালন করতে পারে। 

পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশে স্বেচ্ছায় রক্তদাতা মাত্র ৩৩ শতাংশ। কিন্তু করোনার শুরু থেকে তুলনামূলক কিছুটা কমেছে রক্তদান কার্যক্রম। ফলে প্রয়োজনীয় রক্ত পাচ্ছেন না রোগীরা। অনেকেরই প্রশ্ন চলমান পরিস্থিতিতে রক্তদান কতটা নিরাপদ?

জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শেখ দাউদ আদনান জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে রক্ত সংকট কাটাতে আমাদের আরও বেশি উদার ও মানবিক হতে হবে। আর তাই স্বাস্থ্যবিধিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে রক্তদান কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত রক্তদান বা গ্রহনের মাধ্যমে করোনাভাইরাস সংক্রমণ হওয়ার কোনো প্রমাণ নেই।

করোনা থেকে সেরে ওঠার দু সপ্তাহ পরে অর্থাৎ ১৪ দিন পরেও রক্তদান করা যাবে। কিন্তু যদি দেখা যায় করোনা থেকে সেরে ওঠার পরেও শরীরে নানা রকম অসুস্থতা রয়ে গেছে এবং রোগী কোনও ডাক্তারের চিকিৎসাধীন রয়েছেন, তাহলে তাঁর পরামর্শ ছাড়া রক্ত দেয়া উচিত নয়।

বয়স ১৮ থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত সুস্থ সবল যেকোনো মানুষ প্রতি চার মাস অন্তর রক্তদান করতে পারেন। গবেষণায় দেখা গেছে, রক্তদান যে গ্রহীতাদের জীবনকেই শুধু বাঁচাচ্ছে তা-ই নয়, নিয়মিত রক্তদানেও রয়েছে নানা রকম শারীরিক উপকার। নিয়মিত রক্তদান ক্যান্সার, উচ্চরক্তচাপ, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। আমেরিকান জার্নাল অব এপিডেমিওলজিতে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, নিয়মিত রক্তদাতাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৩৩ ভাগ কম এবং তাদের হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ঝুঁকি কম ৮৮ ভাগ।

 

টাইমস/এসজে

১৪ জুলাই ২০২১, ১২:০৮পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।