• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

করোনার উদ্বেগজনক ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’

করোনার উদ্বেগজনক ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’

প্রতিকী ছবি

ফিচার ডেস্ক

করোনাভাইরাসের নতুন 'বি.১.১.৫২৯' ভ্যারিয়েন্টকে উদ্বেগজনক বা 'ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ভ্যারিয়েন্টকে 'ওমিক্রন' নাম দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

নতুন এই ভ্যারিয়েন্টে প্রচুর পরিমাণে মিউটেশন ঘটায় সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি স্বাস্থ্য সংস্থাকে এই ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে প্রথম রিপোর্ট করে দক্ষিণ আফ্রিকা। দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়াও বতসোয়ানা, বেলজিয়াম, হংকং এবং ইসরায়েলেও ইতোমধ্যে এই ভ্যারিয়েন্ট সনাক্ত করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকটি দেশ দক্ষিণ আফ্রিকায় ভ্রমণ নিষিদ্ধ বা সীমাবদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ইউকে বা আইরিশ নাগরিক না হলে, কিংবা যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা না হলে দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া, জিম্বাবুয়ে, বতসোয়ানা, লেসোথো এবং এসওয়াতিনি থেকে ভ্রমণকারীরা যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করতে পারবে না।

মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকা, বতসোয়ানা, জিম্বাবুয়ে, নামিবিয়া, লেসোথো, এসওয়াতিনি, মোজাম্বিক এবং মালাউই থেকে ফ্লাইট বন্ধ করা হবে। আগামী সোমবার (২৯ নভেম্বর) কার্যকর হবে এই ঘোষণা। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কিছু দেশ এবং সুইজারল্যান্ডও সাময়িকভাবে দক্ষিণ আফ্রিকান দেশগুলো থেকে ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছে।

সময়ের সাথে সাথে ভাইরাসের মিউটেশন অর্থাৎ জেনেটিক রূপ পরিবর্তন হওয়া অস্বাভাবিক নয়। তবে ভাইরাসের একটি ভ্যারিয়েন্ট ঠিক তখনই উদ্বেগের হয়ে ওঠে যখন সেই মিউটেশনের ফলে সংক্রমণযোগ্যতা এবং ভ্যাকসিনের কার্যকারিতার মতো বিষয়গুলো প্রভাবিত হয়।

গত শুক্রবার ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে বি.১.১.৫২৯ নামে পরিচিত এই ভ্যারিয়েন্ট দক্ষিণ আফ্রিকার প্রায় সমস্ত প্রদেশে বাড়ছে বলে মনে হচ্ছে।

জাতিসংঘের জনস্বাস্থ্য সংস্থা একটি বিবৃতিতে বলে, "নতুন ভ্যারিয়েন্টে প্রচুর পরিমাণে মিউটেশন হচ্ছে। এর মধ্যে কয়েকটি বেশ উদ্বেগের। গত ৯ নভেম্বর সংগৃহীত একটি নমুনা থেকে বি.১.১.৫২৯ পাওয়া যায়। নতুন রূপটির প্রভাব বুঝতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে।”

তবে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্রাকচারাল বায়োলজিস্ট প্রফেসর জেমস নাইসমিথ বলেন, "এটা খারাপ খবর হলেও কেয়ামতের মতো গুরুতর নয়।"

এদিকে সায়েন্টিফিক প্যানডেমিক ইনফ্লুয়েঞ্জা মডেলিং গ্রুপের সদস্য ডক্টর মাইক টিল্ডসলি শুক্রবার বিবিসিকে বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার জনসংখ্যার মাত্র ২৪ শতাংশকে সম্পূর্ণরূপে টিকা দেওয়া হয়েছে। ফলে সেখানে দ্রুত রোগের বিস্তার ঘটাতে পারে।

এদিকে মার্কিন সংক্রামক রোগের প্রধান ডা. অ্যান্টনি ফসি সিএনএনকে বলেন, "যতক্ষণ পর্যন্ত না এটি সঠিকভাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে, আমরা জানি না যে এটি কতটা গুরুতর।"

যুক্তরাজ্য, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইইউ ছাড়াও, অন্যান্য দেশও নতুন করে বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বেশিরভাগ ভ্রমণকারীদের ১০ দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে জাপান। এসময় তাদেরকে মোট চারটি পরীক্ষা করতে হবে।

 

এবি/এসএন

২৭ নভেম্বর ২০২১, ০৩:১৭পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।