• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

করোনা ঠেকাবে ক্যাপসুল: অনুমোদনের অপেক্ষায়

করোনা ঠেকাবে ক্যাপসুল: অনুমোদনের অপেক্ষায়

প্রতিকী ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনাভাইরাসের অ্যান্টিভাইরাল ক্যাপসুল 'মলনুপিরাভির' নিয়ে এসেছে মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি মার্ক। ওষুধটি জরুরি ব্যবহারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) কাছে অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেছে কোম্পানিটি। অনুমোদন পেলে এটিই হবে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় অনুমোদিত প্রথম মুখে খাওয়ার অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ।

রবিবার সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘মলনুপিরাভির’ ক্যাপসুলকে মহামারির সম্ভাব্য 'গেম চেঞ্জার' হিসেবে অভিহিত করেছেন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা। ক্যাপসুলটি খেলে রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দরকার পড়বে না। গুরুতর অসুস্থ হওয়ার আগেই ওষুধ খাওয়া শুরু করতে পারবেন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিরা। এ ক্ষেত্রে কারো করোনা শনাক্ত হলে তাকে বাড়িতেই মলনুপিরাভিরের কোর্স শুরু করতে হবে। এ কোর্সে মোট ৪০টি ক্যাপসুল থাকবে। তবে, টিকার বিকল্প হিসেবে এই ওষুধ কখনোই ব্যবহার করা হবে না।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্যাপসুলটি বাজারে আসলেও করোনা থেকে সুরক্ষা দিতে টিকাই হবে সেরা মাধ্যম। তবে হয়তো এটি কোথাও কোথাও টিকার বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হবে। যা শঙ্কা তৈরি করতেই পারে।

সংক্রামক রোগের চিকিৎসক এবং অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি মেডিকেল স্কুলের মেডিসিনের সহযোগী অধ্যাপক সঞ্জয় সেনানায়েকে সিএনএন’কে বলেছেন, 'টিকা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তবে মলনুপিরাভির এভাবে কাজ করে না। এটি ভাইরাসের প্রতিরূপকে ব্যাহত করে। এটি মূলত ভাইরাসের অপুষ্ট শিশুর জন্ম দেয়।'

নন প্রফিট ড্রাগস ফর নেগলেক্টেড জিজিজ ইনিশিয়েটিভের উত্তর আমেরিকার নির্বাহী পরিচালক র‌্যাচেল কোহেন বলেন, মলনুপিরাভিরের সত্যিই এমন কিছু রয়েছে, যা করোনার গতি ও ক্ষমতা পরিবর্তন করে দেয়।

এ বিষয়ে রিজব্যাক বায়োথেরাপিউটিক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ভেন্ডি হলম্যান এক বিবৃতিতে বলেছেন, তিনি আশা করছেন যে ওষুধটি 'মহামারি নিয়ন্ত্রণে গভীর প্রভাব ফেলতে পারবে।'

সিএনএন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনুমোদন পাওয়ার আগেই এ ওষুধ সংগ্রহ করতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তৎপর হতে শুরু করেছে। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের অনেক দেশ করোনার টিকা সংগ্রহের ব্যাপারে ধীর গতিতে কাজ করেছিল। সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার তারা নতুন ক্যাপসুল অনুমোদন পাওয়ার আগেই কেনার চুক্তি করার জন্য ছুটছে।

এরই মধ্যে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের অন্তত ৮টি দেশ বা অঞ্চল ক্যাপসুলটি কেনার চুক্তি সম্পন্ন করার যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করেছে বলে সিএনএন জানিয়েছে। এসব দেশের মধ্যে রয়েছে নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া।

এছাড়া এশিয়ার দেশগুলো এই ক্যাপসুল পেতে যেভাবে প্রতিযোগিতা শুরু করেছে, তাতে করোনার রোধে প্রকৃত পক্ষে বড় ধাক্কা আসতে পারে। কারণ করোনা রোধে মলনুপিরাভির কতটুকু কাজ করবে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কিন্তু এরই মধ্যে এই ক্যাপসুলটির ওপর নির্ভরতা বেড়েছে। এই নির্ভরতাও ক্ষতির কারণ হতে পারে।

 

এবি/এসএন

১৭ অক্টোবর ২০২১, ০৩:৪৫পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।