• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন

বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছে আওয়ামী লীগ

বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছে আওয়ামী লীগ

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে বিতর্কিত কেউ মনোনয়ন পেলে তা সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে আওয়ামী লীগ। এছাড়া ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীদের বিরুদ্ধে দলীয় যেসব নেতাকর্মী কাজ করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হুশিয়ারি দিয়েছে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিতর্কিত কেউ প্রার্থী হিসেবে দলীয় নমিনেশন পেয়েছেন, সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় যাত্রাবাড়ী-ডেমরা মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প পরিদর্শনকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, আগামী ধাপের ইউনিয়ন পরিষদের বিতর্কিত ও অভিযুক্তরা দলীয় নমিনেশন পেয়ে গেলেও তা অভিযোগের ভিত্তিতে প্রত্যাহার করা হবে। কোনো বিতর্কিত ব্যক্তিকে আওয়ালী লীগের নমিনেশন দেয়া হবে না। আমরা অভিযোগ পেলেই তা খতিয়ে দেখছি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি এ বিষয়ে এরই মধ্যে বলেছি, বিতর্কিত কোনো ব্যক্তির নাম নমিনেশনের তালিকায় এলে তা সঙ্গে সঙ্গে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আওয়ামী লীগের সব সাংগঠনিক ইউনিটকে ১৬ অক্টোবর থেকে সভা ডেকে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যথাযথভাবে রেজুলেশন-তৃণমূলের সুপারিশ প্রস্তুত করার জন্য সাংগঠনিক নির্দেশনা দিয়েছি।

তিনি আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দলীয় গঠনতন্ত্র ও তৃণমূলের সুপারিশ অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে বিতর্কিতদের নমিনেশন দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। এমন কি নমিনেশন পাওয়ার পর যদি কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে, তা সঙ্গে সঙ্গে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে দলীয় হাইকমান্ড থেকে।

ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থী নির্ধারণের আগেই রেজুলেশন প্রস্তুত করে রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যাতে নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে তা তৃণমূল থেকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠানো যায়।

তিনি আরও বলেন, চলমান ইউপি নির্বাচনে এবার যদি আওয়ামী লীগের কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচন করে, অভিযোগ পেলেই তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া যারা বিদ্রোহী প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করবে তাদেরকেও ছাড় দেয়া হবে না।

সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি, শেষ মুহূর্তে তাড়াহুড়া করে রেজুলেশন প্রস্তুতির কারণে অনেক জায়গায় সাংগঠনিক বিধি অনুসরণ করা হয়নি। এছাড়া শেষ মূহুর্তে একসঙ্গে সব রেজুলেশন নিয়ে কাজ করা কঠিন। আওয়ামী লীগের দপ্তর বিভাগে এসব রেজুলেশন ঠিক সময়ে প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। তাই এবার আমরা আগে থেকেই রেজুলেশন তৈরির তাগাদা দিয়েছি।

এসময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠ হলে আওয়ামী লীগ পালিয়ে যাবে না কোন দল পালিয়ে যাবে তা সবার জানা। আওয়ামী লীগ পালানোর দল নয়। এটা আওয়ামী লীগের অভ্যাস নয়। বিএনপি বারবার নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজয়ের ভয়ে মাঝপথে নির্বাচন থেকে পালিয়ে গেছে। নির্বাচনের মাঠ থেকে পালিয়ে যাওয় বিএনপির কাজ।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বিএনপি নেত্রী আজ বাসায়। কিন্তু তারপরও ওই দলটি চলছে একজন দণ্ডিত ব্যক্তির নেতৃত্বে, যিনি কিনা পলাতক আসামি। বিএনপি পলাতক এই নেতা রাজনীতি করবেন না বলে মুচলেকা দিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে লন্ডনে আশ্রয় নিয়েছেন। কাজেই দেশের মানুষ জানে, কারা পালিয়ে বেড়ায়।

 

এবি/এসএন

১৩ অক্টোবর ২০২১, ০৩:৩৫পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।