• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

শর্ত সাপেক্ষ্যে ইলিশ রপ্তানি

শর্ত সাপেক্ষ্যে ইলিশ রপ্তানি

নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। এ খবর চাউর হওয়ার পর ভারতীয় মিডিয়ায় বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা শুরু হয়েছে। তবে সেই প্রশংসা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ভারতীয় কয়েকটি মিডিয়ায় বলা হয়েছে, ইলিশ রপ্তানিতে শর্ত জুড়ে দিয়েছে ঢাকা। এতে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের আশাভঙ্গ হয়েছে। এমনকি ভারতে ইলিশ রপ্তানি নিয়েও তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।

এর আগে গত সোমবার ভারতে ২ হাজার ৮০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়া ২৩ সেপ্টেম্বর আরও ভারতে আরও ২ হাজার ৫২০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয় সরকার। এ নিয়ে দুই দফায় ভারতে মোট ৪ হাজার ৬০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

তবে এক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কয়েকটি শর্ত জুড়ে দিয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতিপত্রে বলা হয়েছে, রপ্তানি নীতি ২০১৮-২০২১ এর বিধি-বিধান অনুসরণ করতে হবে। বিধি অনুসারে শুল্ক কর্তৃপক্ষ দ্বারা রপ্তানিকৃত পণ্যের কায়িক পরীক্ষা করাতে হবে এবং প্রতিটি কনসাইনমেন্ট শেষে রপ্তানি সংক্রান্ত কাগজপত্র রপ্তানি-২ অধিশাখায় দাখিল করতে হবে। শর্তগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে বেশি রপ্তানি করা যাবে না।

তবে ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি, এই শর্তগুলো মানতে ভারতীয়দের সমস্যা নেই। বাংলাদেশ সরকারের বেঁধে দেয়া সময়সীমা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন ভারতীয়রা। ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সোমবার ইলিশ রপ্তানির আদেশে অনুমতি দিয়েছে। অনুমতিপত্রে রপ্তানির শেষ দিন ধার্য্য করা হয়েছে ৩ অক্টোবর। যেখানে ভারতের পক্ষ্য থেকে ১০ অক্টোবর করার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার ৩ অক্টোবরকেই ইলিশ রপ্তানির শেষ কার্যদিবস হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে। এতে করে ইলিশ রপ্তানি বাধাগ্রস্থ হবে বলে দাবি করেছে ভারতীয় মিডিয়াগুলো।

আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে ৩ অক্টোবরের মধ্যে সাড়ে চার হাজার টনের বেশি ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে ঢাকা। এতে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের আশা হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে। এত অল্প সময়ে এত ইলিশ আমদানি বা রপ্তানি কার্যত অসম্ভব।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গের মৎস্য আমদানিকারক সমিতির সেক্রেটারি সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ নয়া দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনার মোহম্মদ ইমরানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলে আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়েছে। জানা গেছে, আগামী ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ রপ্তানির সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন করেছেন সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ।

একটি সূত্র জানিয়েছে, রপ্তানি অনুমতি দেয়ার পর গত বুধবার বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ৭৮ হাজার ৮৪০ কেজি বা ৭৮ টন ৮৪০ কেজি ইলিশ ভারতে গেছে। বৃহস্পতিবার আরও ৪০ টন ইলিশ ভারতে পৌঁছেছে।

তবে পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীদের বক্তব্য অনুসারে সত্যিই যদি দৈনিক গড়ে ৫০ টন করে ইলিশ ভারতে যায়, তাহলে আগামী ৩ অক্টোবরের মধ্যে বড়জোর ৬০০ থেকে ৭০০ টনের মতো রপ্তানি করা সম্ভব হবে, যা প্রতিশ্রæত সাড়ে চার হাজার টনের চেয়ে অনেক কম।

 

এবি/এসএন

২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৩:৩৯পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।