• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

জাতিসংঘের এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার পেলেন প্রধানমন্ত্রী

জাতিসংঘের এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার পেলেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার’ প্রদান করেছে জাতিসংঘ। সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশনস নেটওয়ার্ক (এসডিএসএন) দারিদ্র্য দূরীকরণ, পৃথিবীর সুরক্ষা এবং সকলের জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সঠিক পথে কাজ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। এদিকে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বৈশ্বিক রোডম্যাপ প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে শেখ হাসিনা।

নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বলেন, সহস্রাব্দ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। এই স্বীকৃতির অংশ হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ‘এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার’ প্রদান করেছে জাতিসংঘ।

অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও উন্নয়ন কৌশলবিদ অধ্যাপক জেফ্রি ডি. সচ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ‘জুয়েল ইন দি ক্রাউন অব দি ডে’ হিসেবে পুরস্কার তুলে দেন। এসময় অধ্যাপক জেফ্রি ডি সচ বলেন, এই পুরস্কার হচ্ছে এসডিজি’র লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে জোরালো দায়িত্ব পালনের একটি প্রমাণপত্র।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদানের ফাঁকে আন্তর্জাতিক কয়েকটি সম্মেলনে অংশ নেবেন। জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা।

এদিকে সোমবার টেকসই উন্নয়নের ওপর নবম বার্ষিক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০৩০ সাল নাগাদ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের জন্য একটি বৈশ্বিক রোডম্যাপ প্রণয়ন করা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে আমাদের একটি সাহসী ও উচ্চাভিলাষী বৈশ্বিক রোডম্যাপ প্রণয়ন করতে হবে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ওই অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন শেখ হাসিনা।

অপরদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের উত্তর লনের বাগানে একটি বেঞ্চ উৎসর্গ এবং একটি বৃক্ষ রোপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বৃক্ষটাও শতবর্ষের ওপর টিকে থাকবে এবং শান্তির বার্তাই বয়ে বেড়াবে।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা সবসময় শান্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন। দরিদ্র মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য তিনি সংগ্রাম করেছেন। জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা-দারিদ্র ও শোষণমুক্ত পৃথিবী। তিনি সবসময় শোষিতের পক্ষে কথা বলেছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আজ এখানে একটি বৃক্ষরোপন করা হলো এমন একটি মাসে, যেই মাসে জাতিসংঘ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় (১৭ সেপ্টেম্বর)। এই মাসেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘে আসেন এবং এখানে বাংলায় ভাষণ প্রদান করেন (২৫ সেপ্টেম্বর)। জাতিসংঘে জাতির পিতার স্মৃতি ধরে রাখতেই এখানে একটি চেয়ার উৎসর্গ করা হলো এবং বৃক্ষরোপন করা হল। এই বৃক্ষ এখানে শত শত বছর টিকে থাকবে।

 

এবি/এসএন

২১ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০২:৫৮পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।