• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
সংসদে বিল উত্থাপন

সহসা বন্ধ হচ্ছে না কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র

সহসা বন্ধ হচ্ছে না কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র

প্রতিকী ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে কুইক রেন্টাল প্ল্যান্টের ওপর নির্ভরশীলতা কমছে না সহসা। বরং আরও পাঁচ বছর কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র চলবে। জরুরি বিদ্যুৎ সেবা নিশ্চিত করতে এ সংক্রান্ত বিশেষ আইনের মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়াতে সংসদে বিল উত্থাপিত হয়েছে।

বুধবার বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) বিল-২০২১’ জাতীয় সংসদে উত্থাপন করেন।

এর আগে ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর বিদ্যুৎ সঙ্কট দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি ভাড়াভিত্তিক কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমোদন দেয় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার। এসব ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রকে বৈধতা দিতে ২০১০ সালে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন’ প্রণয়ন করে সরকার। নির্দ্রিষ্ট মেয়াদের জন্য ওই আইন প্রণয়ন করা হলেও পরবর্তীতে তা কয়েক দফায় সংশোধন করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে আইন বলবৎ করার মেয়াদ।

সর্বশেষ ২০১৭ সালে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন’-এর মেয়াদ তিন বছর বাড়িয়ে ২০২১ সাল পর্যন্ত করা হয়। এবার সেই তিন বছরের মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়ানোর জন্য সংসদে বিল উত্থাপন করা হয়েছে। মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পাওয়ার পর বিলটি সংসদে উত্থাপন করেছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

একটি সূত্র জানিয়েছে, সরকার মনে করছে, প্রাথমিক পর্যায়ে তিন বছর, পাঁচ বছর ও ১৬ বছর মেয়াদে কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু রাখার ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন দ্রুত বেড়ে যাবে। ফলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের নতুন গতি সঞ্চার হবে। তবে ভাড়াভিত্তিক এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ পাওয়া যায়, তার থেকে সরকারের ভর্তুকির পরিমাণ অনেক বেশি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকে সরকারের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনাও করেছেন।

এসব বিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, কুইক রেন্টার বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে বিদ্যুৎ কিনলে টাকা দেয়া হবে। না কিনলে টাকা দেয়া হবে না। এভাবেই চলবে। বাধ্যবাধকতা রাখা হচ্ছে না।

বিলটি সংশোধনের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা-২০০৮ অনুযায়ী নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎস থেকে দেশের মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ১০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা আমাদের লক্ষ্য। আর এই লক্ষ্য পুরণে বিদ্যুৎখাতে দ্রুত অধিক সংখ্যক প্রকল্প নেয়া প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্য আয়ের দেশের মর্যাদা লাভ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বিশ্বের কাতারে দেশকে নিয়ে যেতে হলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে উন্নয়ন সবার আগে দরকার। সেই লক্ষ্যে দেশের চলমান অবকাঠামোগত উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখা অপরিহার্য। কাজেই বৃহৎ স্বার্থে এসব প্রকল্প টিকিয়ে রাখতে হচ্ছে।

এর আগে কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ২০২৪ সালের মধ্যে বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। গত মার্চে মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির বৈঠকে উপস্থাপিত এক প্রতিবেদনে ওই তথ্য উল্লেখ করা হয়।

 

এবি/এসএন

১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৪:৪৭পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।