• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
গ্রাহক হয়রানি ও প্রতারণা

ইভ্যালির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ

ইভ্যালির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ

ফাইল ছবি

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার এই সুপারিশ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি। এর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ইভ্যালির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মতামত কমিটির সদস্যরা।

একটি সূত্র জানিয়েছে, আইন ভঙ্গ করায় ইভ্যালির কোনো দায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বহন করবে না। আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে উপস্থিত সদস্যরা এ ব্যাপারে একমত হয়েছেন। এর পরই ইভ্যালির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি।

সূত্রটি জানিয়েছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইভ্যালির কর্মকাণ্ডে অসঙ্গতি খুঁজে পেয়েছে। যে কারণে তারা ইভ্যালিকে আর কোনো সুযোগ দিতে চায় না। বরং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এখন ইভ্যালির কর্মকাণ্ডের তদন্ত করারও সুপারিশ করেছে।

এদিকে ইভ্যালিসহ আরও ৮ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, তদন্ত করে এসব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে প্রতিবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইভ্যালির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র জানিয়েছে, আর্থিক অনিয়ম ও প্রতারণার অভিযোগে ইভ্যালিসহ নয়টি ই-কমার্স কোম্পানির হিসাব খতিয়ে দেখার জন্য নিরীক্ষক নিয়োগ দিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- আলেশা মার্ট, ধামাকা, ই-অরেঞ্জ, সিরাজগঞ্জ শপ, আলাদিনের প্রদীপ, কিউকুম, বুম বুম, আদিয়ান মার্ট ও নিড ডটকম ডটবিডি।

এসব বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের পরিচালক অতিরিক্ত সচিব হাফিজুর রহমান বলেন, গত রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠি আমরা পেয়েছিলাম। এর পরই আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে ইভ্যালির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ইভ্যালিসহ অন্য আটটি ই-কমার্স সংস্থার বিরুদ্ধে পণ্য সরবরাহে অনিয়ম, প্রতারণা ও আর্থিক বিবরণী ত্রুটিপূর্ণ  থাকার অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে কর্তৃপক্ষ।

এর আগে গত ২৪ আগস্ট ৯টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক লেনদেন ও আর্থিক তথ্য জানতে চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ওই চিঠিতে প্রতিষ্ঠানগুলোর সর্বশেষ আর্থিক অবস্থা, ক্রেতা ও মার্চেন্টদের কাছে মোট দেনার পরিমাণ ও প্রতিষ্ঠানগুলো স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির বিবরণী চাওয়া হয়েছিল।

 

এবি/এসএন

১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৪:২১পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।