• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

বয়স ১৮ হলেই পাবে করোনার টিকা

বয়স ১৮ হলেই পাবে করোনার টিকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

আপাতত করোনা মোকাবিলায় টিকার ঘাটতি নেই। টিকাদান কর্মসূচী চলছে স্বাভাবিক গতিতে। এরই মধ্যে পেশাজীবী বিভিন্ন বয়সের মানুষকে টিকার আওতায় এনেছে সরকার। সর্বশেষ বয়সসীমা ২৫ বছর নির্ধারণ করে টিকা দেয়া হয়েছে। এবার টিকাদানের নতুন বয়সসীমা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঘোষণা অনুযায়ী, ১৮ বছর বয়স হলেই নেয়া যাবে করোনার টিকা।

জাতীয় সংসদের চলমান অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের প্রত্যেকটি মানুষকে টিকার আওতায় আনা হবে। বিশেষ করে ১৮ বছরের ওপরের সকল বাংলাদেশী নাগরিককে কোভিড-১৯ এর টিকা দেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বয়সসীমা ১৮ নির্ধারণ করার পর এ পর্যন্ত ২৪ কোটি ৬৫ লাখ ১৩ হাজার ৬৬০ ডোজ টিকা সংগ্রহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিমাসে যাতে ১ কোটি ডোজের বেশি টিকা পাওয়া যায়, সেই ব্যবস্থাও চলমান রয়েছে।

একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনে নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, প্রতিমাসে যাতে ১ কোটি ডোজের বেশি টিকা পাওয়া যায় তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সিনোফার্ম থেকে প্রদত্ত সিডিউল অনুযায়ী আগামী অক্টোবর মাস থেকে প্রতি মাসে ২ কোটি হিসেবে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৬ কোটি টিকা পাওয়া যাবে।

জানা গেছে, করোনা মোকাবিলায় সরকার প্রায় ২৪ কোটি ৬৫ লাখ ১৩ হাজার ৬৬০ ডোজ টিকা সংগ্রহের ব্যবস্থা করেছে। এরই মধ্যে ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ পর্যন্ত দ্বিপাক্ষিত ক্রয় চুক্তি এবং উপহার হিসেবে মোট ৪ কোটি ৪৪ লাখ ৩১ হাজার ৮৮০ ডোজ টিকা হাতে পেয়েছে সরকার। এখন পর্যন্ত দেশে মজুদ ভ্যাকসিনের পরিমাণ ৯৬ লাখ ৫৪ হাজার ১১৯ ডোজ।

এ পর্যন্ত ২ কোটি ৯ লাখ ২২ হাজার ৭১৫ জনকে প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করেছেন ১ কোটি ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার ৪৬ জন। সব মিলিয়ে ৩ কোটি ৪৭ লাখ ৭৭ হাজার ৭৬১ জনকে টিকা প্রদান করেছে সরকার।

এদিকে জাতীয় সংসদে দেয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকলের সহযোগিতায় করোনা মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। সবাই আরও সতর্ক ও সচেতন হলে আমরা করোনা পুরোপুরি মোকাবিলা করতে পারব। কাজেই সবাইকে কঠোর ভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, যখন কোন একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর মধ্যে নির্দিষ্ট অনুপাতে ভ্যাকসিন বা টিকা দেয়া যায়, তখন আর ওই কমিউনিটিতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে না। সবার মধ্যেই যদি হার্ড ইম্উুনিটি তৈরি হয়ে যায়, তাহলে আর শঙ্কা থাকে না।

তবে কোভিড-১৯ রোধে হার্ড ইমুউনিটি তৈরির ক্ষেত্রে কত ডোজ টিকা প্রয়োজন হবে তা এখনো আমরা নিশ্চিত নই। এ নিয়ে বিস্তর গবেষণা চলছে।

 

এবি/এসএন

১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৩:২১পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।