অসুস্থ হলে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে অনুপস্থিত বিবেচিত হবে না
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বা কোনো ধরনের উপসর্গের কারণে যদি শিক্ষার্থীরা সশরীরে উপস্থিত হয়ে ক্লাসে যোগদান করতে না পারে, তাহলে তাদেরকে 'অনুপস্থিত' হিসেবে গণ্য করা হবে না। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রনালয়। এ বিষয়ে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, 'যদি কোনো শিক্ষার্থী তার পরিবারের কোনো সদস্যের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কারণে ক্লাসে আসতে না পারে, সেক্ষেত্রে তাকে অনুপস্থিত হিসেবে বিবেচনা করা হবে না। তবে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের এ ক্ষেত্রে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে পরিবারের সদস্যের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রমাণ জমা দিতে হবে।'
স্কুল ও কলেজে পর্যায়ক্রমে সশরীরে ক্লাস করার সিদ্ধান্তকে অভিভাবকরা স্বাগত জানালেও কিছু বিষয়ে দুশ্চিন্তা থেকেই যাচ্ছে।
সিদ্ধেস্বরি গার্লস হাই স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক হামিদ হোসেন বলেন, ক্যাম্পাস থেকেও সংক্রমণের সম্ভাবনা আছে। স্কুল কলেজে শিক্ষার্থীরা কতটুকু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে সেটা নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে। তাদের অনেক দিন পর একে অপরের সঙ্গে দেখা হবে এবং তারা একসঙ্গে খেলাধুলা করবে ও আড্ডা দেবে। এতে সংক্রমনের ঝুকি বাড়তে পারে।
এর আগে, সরকার ৫ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন পর্যায়ে স্কুলে সশরীরে ক্লাস শুরু করার সিদ্ধান্ত জানায়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্কুল ও কলেজ খোলার পর উচ্চ মাধ্যমিক, ২০২১ ও ২০২২ সালের মাধ্যমিক এবং এ বছরের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার (পিইসিই) শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ক্লাস করবে।
প্রথম থেকে চতুর্থ ও ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে একদিন করে সশরীরে ক্লাস করবে।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানান, সরকার স্কুল খোলার পর সার্বিক করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হচ্ছে কিনা সেটার ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখবে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য গত বছরের ১৭ মার্চ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। ফলশ্রুতিতে ক্লাস ও পরীক্ষা বাতিল হয়ে যায় এবং প্রায় দেড় লাখ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৪ কোটি শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
এ বছরের মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের আঘাতে সংক্রমণের হার বাড়তে থাকে এবং ২৪ জুলাই আগের সব সংক্রমণের হার ছিল সর্বোচ্চ ৩৩ শতাংশ। তবে আগস্ট মাসের শুরু থেকে এই হার কমতে থাকে।
এবি/এসজে