• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ইসলামি শরিয়তে ঈদগাহ বা খোলা জায়গায়

ইসলামি শরিয়তে ঈদগাহ বা খোলা জায়গায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্দেশনায় প্রদত্ত শর্তগুলো হল-

১. ইসলামি শরিয়তে ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত আদায়ের ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সারা বিশ্বসহ আমাদেও দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে মুসল্লিদের জীবন ঝুঁকি বিবেচনা করে এ বছর ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে ঈদের নামাজের জামাত নিকটস্থ মসজিদে আদায় করার জন্য অনুরোধ করা হলো। প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামাত অনুষ্ঠিত করা যাবে।

২. ঈদের নামাজের জামাতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে। মুসল্লিরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে।

৩. করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ নিশ্চিত করতে মসজিদে ওযুর স্থানে সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।

৪. মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবানপানি রাখতে হবে।

৫. প্রত্যেক মুসল্লিকে নিজ নিজ বাসা থেকে ওযু করে মসজিদে আসতে হবে। ওযু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।

৬. ঈদের জামাতে আগত মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।

৭. ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।

৮. শিশু, বয়োবৃদ্ধ, যেকোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদেও সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের ঈদের নামাজের জামাতে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

৯. সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই মেনে চলতে হবে।

১০. করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ নিশ্চিত করতে মসজিদে জামাত শেষে কোলাকুলি ও পরস্পর হাত মেলানো থেকে বিরত থাকতে হবে।

১১. করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আল-আমিন-এর দরবারে বিশেষ দোয়া করার জন্য খতিব ও ইমামদের অনুরোধ করা যাচ্ছে এবং সম্মানিত খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন।

২৭ এপ্রিল ২০২১, ০৪:৫২এএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।