হামাসের হামলায় ইসরায়েলে আতঙ্ক : ৬০ হাজার ইহুদির দেশত্যাগ
ফিলিস্তিনিদের ইসলামপন্থী শাসক দল 'হামাস'-এর হামলার মুখে হতভম্ব ইসরায়েল। প্রাণ বাঁচতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন দেশটির নাগরিকরা। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিমানবন্দরে যাত্রীদের ঢল নেমেছে। শুধু বেন গুরিয়ান বিমানবন্দর দিয়ে রোববার অন্তত ৬০ হাজার ইসরায়েলি দেশত্যাগ করেছেন। ইসরায়েলের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবিসির তথ্য মতে, আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগে ইসরায়েলের উপর আকস্মিক আক্রমণ চালিয়েছিল মিশর ও সিরিয়া। যা ইওম কিপুর যুদ্ধ নামে পরিচিতি পায়। এবারে একই উপায়ে ফিলিস্তিনের হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলের ওপর বড় ধরনের আক্রমণ শুরু করেছে। তারা রোববার সকালে গাজা উপত্যকা থেকে জেরুজালেম ও তেল আবিব পর্যন্ত একের পর এক রকেট নিক্ষেপ শুরু করে। সেই সাথে ফিলিস্তিনি ওই যোদ্ধারা সমুদ্র, স্থল এবং আকাশপথে দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে। তারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ইসরায়েলি শহর ও সেনা ঘাঁটিগুলো ঘেরাও করে আক্রমণ করে এবং বহু মানুষকে হত্যা করে। সেই সাথে তারা অজ্ঞাত সংখ্যক ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিক ও সৈন্যদের গাজায় জিম্মি করে রাখার জন্য আটক করে নিয়ে যায়।
ইসরায়েলের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বলছে, হামাস যোদ্ধাদের হামলার মুখে আতঙ্কের মধ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কোম্পানি দেশটিতে ফ্লাইট স্থগিত করেছে। এতে করে বিমানবন্দরে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। হাজার হাজার মানুষ দেশ ছাড়ার জন্য ভিড় করছেন।
গ্লোবসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে বেন গুরিয়ান বিমানবন্দরের টার্মিনাল-১ বন্ধ রয়েছে। বিমানবন্দরের ৩ নম্বর টার্মিনাল দিয়ে অপারেশন পরিচালনা করা হচ্ছে। একদিনে এ বিমানবন্দর দিয়ে অন্তত ৬০ হাজার ইসরায়েলি দেশত্যাগ করেছেন।
সংবাদমাধ্যম আরও জানিয়েছে, আমেরিকান বিভিন্ন বিমান কোম্পানি তাদের ফ্লাইট বাতিল করেছে।
এএফপির এক প্রতিদবেদনে বলা হয়েছে, জার্মানির বিমান পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান লুফথানসা, আমিরাতভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এমিরেটস ও গ্রিক কোম্পানি এজিন এয়ার লাইনসও দেশটিতে তাদের ফ্লাইট বাতিল করেছে। একই পদক্ষেপ নিয়েছে ফরাসি, ইতালি, স্প্যানিশ ও পোলান্ডের বিমান পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান।
মিডল ইস্ট মনিটর জানিয়েছে, তেল আবিবে ইউরোপিয়ান অ্যাম্বাসিগুলোতে ইসরায়েলি নাগরিকদের দীর্ঘ লাইন দেখা যাচ্ছে। পশ্চিমা পর্যটনবিষয়ক অফিসগুলোর দেওয়া তথ্যমতে, সম্প্রতি ইসরায়েলি পাসপোর্টের পাশাপাশি অন্যান্য পশ্চিমা দেশের পাসপোর্ট নেওয়ার আগ্রহ বেড়ে গেছে।