• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

অদৃশ্যের দৃশ্যতা

অদৃশ্যের দৃশ্যতা

ফাইল ছবি

অ্যাডভোকেট আব্দে ওয়াহিদ

আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী প্রজন্ম, যারা ’৭৫-এর ১৫ই আগস্টের পর বিকৃত ইতিহাস জেনে এসেছি। যে প্রজন্ম একটু স্বপ্ন, একটু সামর্থ্য, ধোঁয়াশা, অভাব, হতাশা ও অন্ধকারময় ভবিষ্যৎ, অপরিচ্ছন্ন আগামি এবং অবলম্বনহীন পথে চলেছে। সেই প্রজন্মের স্বার্থকতার অবলম্বন এখন শেখ হাসিনা। জননেত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এবং ক্রমান্বয়ে দেশ ও মানুষের কল্যাণে তার আত্ননিয়োগ প্রজন্মের ধারণা পাল্টে দিয়েছে। ২১ বছর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বাইরে থাকা আওয়ামী লীগের হাল ধরেন তিনি। তার নেতৃত্বে জনগনের চরম আস্থার দলে পরিণত হয়েছে আওয়ামী লীগ। বার বার ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে দেশে গণতান্ত্রিক ধারা বজায় রেখেছেন তিনি।

১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা ও তার পুরো পরিবার শহীদ হলেও নিজ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন শেখ হাসিনা। ২০০৮ সালে ক্ষমতাগ্রহণের পর থেকে একের পর এক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছেন তিনি। বিরোধিরা যখন ক্ষমতা দখলের নেশায় সারা দেশে নৈরাজ্য করেছিল, তখন শেখ হাসিনা সমুদ্রের অধিকার ছিনিয়ে এনেছিলেন। দেশ ও জাতি গঠনে ব্যস্ত থেকে বিশ্বকে তিনি বুঝিয়েছেন যে, বাংলার মানুষ সাবলম্বী হয়ে বাঁচতে চায়। শেখ হাসিনা জনগণের মাঝে দৃঢ় মনোবল জাগ্রত করেছেন। নিমতলী ট্রাজেডিতে বেঁচে যাওয়াদের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করে ইতিহাসে অনন্য অধ্যায়ের সংযোজন করেছেন তিনি। কারারুদ্ধ থেকে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্বজীবনী প্রকাশ করে বাঙালির পথভ্রষ্টতা দূর করেছেন তিনি। শুধু উন্নয়ন নয় বরং তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। মানুষ বাঁচে আশায়, যে আশা জুগিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সে আশায় ভরসা জুগিয়ে তারই কন্যা শেখ হাসিনা বাঙ্গালীকে দিয়েছেন এক নতুন অধ্যায়। ডিজিটাল বাংলাদেশে তাই স্বপ্ন বুনছেন কোটি বাঙ্গালী।

লেখক:

আব্দে ওয়াহিদ

আইনজীবী

বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট।

১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:২২পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।