• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জওহর লাল নেহরু

জওহর লাল নেহরু

ফিচার ডেস্ক

জওহর লাল নেহরু স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। দেশকে স্বাধীন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। স্বাধীনতা সংগ্রামে সক্রিয় ভাবে অংশ নেন। এর জন্য তাঁকে ন’বার জেলবন্দি হতে হয়েছিল। ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীন হবার পর তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ১৯৬৪ সালে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব পালন করেছেন।

১৮৮৯, ১৪ নভেম্বর: গঙ্গা নদীর তীরে এলাহাবাদ শহরে জওহরলাল নেহেরু জন্মগ্রহণ করেন।

১৮৯৪: ১৫ বছর বয়সে নেহেরু ইংল্যান্ডের হ্যারোতে চলে যান। তিনি প্রকৃতি বিজ্ঞানের উপরে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রিনিটি কলেজে লেখাপড়া করেন। এরপর তিনি কেমব্রিজেই ব্যারিস্টারি পড়া শুরু করেন। ইংল্যান্ডে পড়ার সময় নেহেরু ভারতীয় ছাত্র সংসদের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন।

১৯১২: একজন প্রতিনিধি হিসেবে তিনি বাঁকিপুর কংগ্রেসে উপস্থিত ছিলেন।

১৯১৬, ৮ ফেব্রুয়ারি: জওহরলাল নেহেরু ভারতে ফিরে আসার পর কমলা কাউলকে বিয়ে করেন।

১৯১৬: লক্ষ্মৌ সম্মেলনে কংগ্রেস ভারতের স্বাধীনতার আহ্বান জানায়। সে সময় পিতার হাত ধরেই নেহেরু কংগ্রেসের রাজনীতিতে যোগ দেন।

১৯১৯: এলাহাবাদের হোম রুল লিগে তিনি সম্পাদক পদে নিযুক্ত হন।

১৯২০: নেহেরু নিখিল ভারত শ্রমিক ইউনিয়ন কংগেসের সভাপতি নির্বাচিত হন।

১৯২০: তিনিই উত্তর প্রদেশের প্রতাপগড় জেলায় কিষাণ মার্চ সংগঠিত করেন ।

১৯২০-১৯২২: অসহযোগ আন্দোলনের দিনগুলিতে তিনি দু’বার কারাবরণ করেন।

১৯২৩ সেপ্টেম্বর: পণ্ডিত নেহরু নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত হন।

১৯২৬: তিনি ইতালি, স্যুইজারল্যান্ড, ইংল্যান্ড, বেলজিয়াম, জার্মানি ও রাশিয়া সফরে যান।

১৯২৬: মাদ্রাজ কংগ্রেসে স্বাধীনতাই যে কংগ্রেসের মূল লক্ষ্য তা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষণা করেন পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু।

১৯২৭: মস্কোয় অক্টোবর সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের দশম বার্ষিকীতেও তিনি দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন।

১৯২৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর কংগ্রেস সভাপতি নেহেরু রাভি নদীর তীরে এক জনসভায় ভারতের স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করেন।

১৯৩০, ২৬ জানুয়ারি: কংগ্রেস পূর্ণ স্বরাজ আন্দোলনের ডাক দেয়।

১৯৩০-৩৫ সাল পর্যন্ত লবণ সত্যাগ্রহ-সহ কংগ্রেসের অন্যান্য আন্দোলনে যুক্ত থাকার জন্য বিভিন্ন সময় তাঁকে কারাবরণ করতে হয়।

১৯৩৫: জেল থেকে মুক্ত হয়ে নেহেরু সপরিবারে ইউরোপ যান। সেখানে কমলা নেহেরু চিকিৎসা নেন।

১৯৩৬: নেহেরু ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং এর লক্ষ্মৌ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন।

১৯৪২: ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের অন্যতম হোতা ছিলেন জওহরলাল স্বয়ং। যিনি পরবর্তীকালে এই আন্দোলন সংগঠনের জন্য গ্রেপ্তার হন।

১৯৪২, ৯ আগস্ট: ব্রিটিশ সরকার নেহেরু ও অন্যান্য কেন্দ্রীয় কংগ্রেস নেতাকে গ্রেফতার করে।

১৯৪৫: জেল থেকে বের হয়ে তিনি ১৯৪৬-এর নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন।

১৯৪৭, ১৫ আগস্ট: নেহেরু ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার শাসনামলে ভারতে ব্যাপক শিল্পায়ন হয়। টানা ১৭ বছর তিনি এই দায়িত্ব সামলেছেন।

১৯৬২: ১ম ভারত-চীন যুদ্ধের পরে নেহেরু অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং কাশ্মীরে কিছুদিন বিশ্রাম নেন।

১৯৬৪ মে: কাশ্মীর থেকে ফেরার পরে নেহেরু হৃদরোগে আক্রান্ত হন।

১৯৬৪, ২৭ মে: নেহেরু তার কার্যালয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

 

তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া, https://www.pmindia.gov.in/bn/former_pm/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%9C%E0%A6%93%E0%A6%B9%E0%A6%B0%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B9%E0%A6%B0%E0%A7%81/

এবি/এসজে

 

২৮ আগস্ট ২০২১, ০৬:৩৯পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।