• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
চীনা দূতাবাস-অ্যাবকা’র উদ্যোগ

চীনা বর্ষবরণে ঢাকায় জাঁকজমক উৎসব

চীনা বর্ষবরণে ঢাকায় জাঁকজমক উৎসব

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকায় জাঁকজমকভাবে চীনের ঐতিহ্যবাহী নতুন বছরের বসন্ত উৎসব-২০২৩ উদযাপিত হয়েছে। উৎসবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানার আয়োজন উপভোগ করেন অতিথিরা। চীনা নতুন বছরের উৎসব বা বসন্ত উৎসব চীনের সবচেয়ে বড় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে একটি। এই উৎসব উপলক্ষ্যে চীনারা সাতদিনের ছুটি পালন করে থাকে।

শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) রাতে গুলশানের একটি অভিজাত হোটেলে উৎসবের আয়োজন করা হয়। অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-চায়না অ্যালামনাই (অ্যাবকা) ও ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসের উদ্যোগে উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নবনিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। অ্যাবকার সদস্যসহ নানা পেশার মানুষ উৎসবে উপস্থিত ছিলেন।

চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত ও অ্যাবকার সভাপতি মুন্সি ফয়েজ আহমেদের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন অ্যাবকার সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক সাহাবুল হক।

অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ডা. দীপু মনি বলেন, চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্বকে শুধু কুটনৈতিক সম্পর্কের ভিত্তিতে বিবেচনা করা ঠিক হবে না। কারণ দুই দেশের জনগণের মধ্যকার সম্পর্ক এবং সাংস্কৃতিক বন্ধন হাজার বছরের। চীন-বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত শক্তিশালী ও শক্ত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত যা প্রতিনিয়ত আরো শক্তিশালী হচ্ছে।

চীনের নতুন বছর পালনের উৎসবের সাথে বাংলাদেশের পহেলা বৈশাখ ও মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠানের তুলনা করে ডা. দীপু মনি আরও বলেন, এ ধরনের অনুষ্ঠান যত বেশি পালিত হবে, দুই দেশের মানুষের সাংস্কৃতিক বন্ধন এবং কানেকটিভিটি ততো বেশি জোরদার হবে।

অনুষ্ঠানে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, গত তিন বছর কোভিডের কারণে যোগাযোগ খাতে অনেক প্রতিবন্ধকতা ছিল। এই সমস্যা এখন দূর হয়েছে। চীনে যোগাযোগ এখন অনেক সহজতরো হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাস থেকে পুরোদমে বিমান যোগাযোগ চালু হবে।

বাংলাদেশীদের পড়াশুনা ও ব্যবসার পাশাপাশি সব প্রয়োজনে এখন থেকে চীনে যোগাযোগের আহবান জানিয়ে রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন আরও বলেন, সামনের দিনগুলোতে চীন-বাংলাদেশের সার্বিক সম্পর্ক আরো জোরদার হবে। এসময় তিনি দুই দেশের বিদ্যমান সম্পর্ককে মজবুত করতে অ্যাবকার ভূমিকারও প্রশংসা করেন।

অতিথিদের বক্তৃতা শেষে অনুষ্ঠানে ডকুমেন্টরি প্রদর্শন করে অ্যাবকা। ডকুমেন্টরিতে চীন-বাংলাদেশের মধ্যকার সার্বিক সম্পর্কের নানা দিক তুলে ধরা হয়।

২১ জানুয়ারি ২০২৩, ০৯:০৯পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।