বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের বীজ বপণ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু : চীনা কাউন্সিলর
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা সংস্কৃতি ও শিক্ষা বিষয়ক কাউন্সিলর লিউইন ইও বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বীজ বপণ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও চীনের প্রতিষ্ঠাতা প্রধানমন্ত্রী চৌ এনলাই। কীর্তিমান দুই বিশ্বনেতার নেতৃত্বে চীন-বাংলাদেশ নতুন যুগে পা বাড়িয়েছিল।’
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) ঢাকায় আয়োজিত এক অনলাইন সেমিনারে (ওয়েবাইনার) তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘বঙ্গবন্ধুর জীবন স্মরণ: বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী চৌ এনলাইয়ের প্রাথমিক যোগাযোগ-বাংলাদেশ-চায়না সম্পর্কের ভিত্তি”-শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ চায়না অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন (অ্যাবকা)।
লিউইন ইও বলেন, ‘আমরা আমাদের দৃষ্টিকে সামনের দিকে অগ্রসর করবো এবং শিক্ষা ও সংস্কৃতিসহ সব ক্ষেত্রে দুই দেশের সম্পর্ককে আরো শক্তিশালী ও দৃঢ় করতে ভূমিকা পালন করবো।’
বঙ্গবন্ধু ও চীনা নেতা চৌ এনলাইয়ের মধ্যকার সুসম্পর্ক বিশ্লেষণ করতে গিয়ে তিনি চীনা কূটনীতিক বলেন, ‘এই দুই কিংবদন্তী নেতা একটা পারস্পরিক ভালোবাসা ও সহযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি করেছিলেন যা এই গোটা অঞ্চলের উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছিল।’
মুন্সি ফয়েজ আহমাদের সভাপতিত্বে সেমিনারে অ্যাবকার সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. সাহাবুল হক উদ্বোধনী বক্তব্য দেন। সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ড. মোহাম্মদ আবুল কাওছার সপন। বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেসশালসের বঙ্গবন্ধু চেয়ার এবং প্রফেসর ড. সাইয়েদ আনোয়ার হোসেন সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন।
সেমিনারের সমাপনি বক্তব্যে মুন্সি ফায়েজ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবদ্দশায় পৃথিবীর বহু দেশ ভ্রমণ করেছিলেন। কিন্তু তিনি শুধু চীনকে নিয়ে কেন বই লিখেছিলেন ”আমার দেখা নয়া চীন”। এটা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।’
মুন্সি ফয়েজ আরও বলেন, ‘প্রকৃত অর্থে, বঙ্গবন্ধু উপলব্ধি করেছিলেন, চীনের বিস্তর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বাংলাদেশের উন্নয়ন সাধন সহজ হবে।’
সেমিনারে চীনের ঝেনজু ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আশরাফুল আলম ও অ্যাবকার উপদেষ্টা মোহাম্মদ শামছুল বক্তব্য রাখেন। এ ছাড়া সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন অ্যাবকার যুগ্ন সম্পাদক ড. এএএম মুজাহিদ ও মারুফ হাসান, অর্থ সম্পাদক ড. মো. রাশেদুজ্জামান এবং দপ্তর সম্পাদক ড. মো. শিবলী নোমান।